রসায়নে এবারের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে প্রোটিন গবেষণার জন্য। কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য এই পুরস্কারের অর্ধেক পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের নোবেল প্রাইজ ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়। এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁদের গবেষণা, দর্শন ও নিজস্ব চিন্তাভাবনার কথা। নোবেল প্রাইজ ডটঅর্গের পক্ষ থেকে ডেমিস হাসাবির এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অ্যাডাম স্মিথ।
সঠিকভাবে এগোলে আপনি যেখানেই গবেষণা করেন না কেন, গ্রেট সায়েন্স (ভালো গবেষণা) করতে পারবেন। তবে সেটা, বলা বাহুল্য, মৌলিক গবেষণা হতে হবে। জানেনই তো, নতুন দিনের বিজ্ঞান, নতুন বিষয় ও ক্ষেত্রগুলো এবং নতুন আবিষ্কারের জন্য অনেক রিসোর্স প্রয়োজন। আমাদের ক্ষেত্রে, অনেক কম্পিউটার প্রয়োজন।
আর, জানেনই তো, এ জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা। তাহলে প্রয়োজনীয় ফান্ডিংয়ের জন্য প্রাইভেট খাতে গেলে সমস্যা কী? যতক্ষণ আপনি সঠিকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে কাজ করছেন, বৈজ্ঞানিক নৈতিকতা যথাযথভাবে মানছেন, বড় প্রশ্নগুলো নিয়ে কাজ করছেন, ততক্ষণ কোনো সমস্যা নেই।
প্রকৌশল, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, এমনকি দর্শনের মতো বিষয়ের বিশেষজ্ঞদেরও এক করতে চেয়েছি। মানে, সব বিষয়ের সেরাদের এক জায়গায় জড়ো করা, তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর পর্যাপ্ত যোগান দেওয়া এবং সেগুলো কম্পিউট করার মতো রিসোর্স ও অন্যান্য সবকিছুর ব্যবস্থা করা।
আমাদের আশা ছিল, এ থেকে দারুণ কিছু হবে। আগে আমরা বেল ল্যাবে এমনটা দেখেছিলাম (মার্কিন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটির এই গবেষণাগারে দারুণ সব গবেষণা হয়েছে, আবিষ্কৃত হয়েছে মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ বা কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ডসহ আরও অনেক কিছু)।
জীবনভর আমি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ে কাজ করেছি, কারণ আমি বিজ্ঞান এবং নতুন জ্ঞান অন্বেষণের প্রতি প্যাশনেট (দারুণ আগ্রহী)। বরাবরই আমার মনে হয়েছে, আমরা যদি সঠিক উপায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গড়ে তুলতে পারি, তবে সেটা হবে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করার দুর্দান্ত এক টুল। আমাদের চারপাশের মহাবিশ্বটাকে বুঝতে সেটা আমাদের সাহায্য করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।