জুমবাংলা ডেস্ক: মানিকগঞ্জের কৃষি উদ্যোক্তরা চাষাবাদে পরিবর্তন এনেছে। তারা ভিন্ন ধরনের ফল চাষের দিকে ঝুঁকছে। এক সময় মানিকগঞ্জের কৃষকরা ধান, পাট, ভুট্টা, তামাক সহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করতো। কিন্তু বর্তমানে মেধাবীরা উন্নত জাতের ফল চাষ করে কৃষিতে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইতি মধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষাবাদ হচ্ছে ড্রাগন ফল। অনেকে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছে। দেখতে সুন্দর ও পুষ্টিগুনে ভরা এই ফলের প্রচুর চাহিদাও রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ সদর ও শিবালয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে। মাহবুব আলম লাভলু শিবালয় উপজেলার মহাবেপুর ইউনিয়নের বাগজান এলাকায় ৫০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন চাষ করেন। ইতিমধ্যে তার বাগানে ফল ধরতে শুরু করেছে। বিদেশি ড্রাগন ফল চাষ করে তিনি এলাকায় একটি আলাদা পরিচিতি লাভ করেছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন দেখতে আসে নতুন জাতের এই ফল বাগান।
বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত মোঃ আলাল উদ্দিন বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে ভাই মাহবুব আলম লাভলু প্রায় দুই বছর আগে বাগানটি তৈরি করেন। তাদের বাগানে বর্তমানে আড়াইশো থলেতে এক হাজার ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। প্রতিটি থলেতে রয়েছে একটি করে খুঁটি এবং মোটরসাইকেলের পুরানো টায়ার। সেচের জন্য একটি ঘরে স্থাপন করা হয়েছে সাবমারসিবল পাম্প। বাগানটি দাঁড় করাতে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী বছর থেকে ফল বিক্রির করার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ফলের মানভেদে প্রতি কেজি ফল বর্তমান বাজারে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ভাল দাম এবং বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এই ফলের।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ বলেন, ভাল দাম এবং চাহিদা থাকায় মানিকগঞ্জে ড্রাগন ফল চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। ইতিমধ্যে সিংগাইর, মানিকগঞ্জ সদর ও শিবালয় উপজেলায় ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে। প্রায় সব ধরনের মাটিতে এই ফল চাষ করা যায়। আমরা ড্রাগন ফল চাষীদের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগীতা দিচ্ছি। মানিকগঞ্জে প্রতিবছরই ড্রাগন ফলের আবাদ বাড়ছে।
দুই বছর ধরে ফলন দিচ্ছে বারোমাসি ১টি বেগুন গাছ, ১৫ মণ বিক্রি!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।