জুমবাংলা ডেস্ক : ড. ইউনূস বাংলাদেশিদের জন্য আল্লাহর রহমত বলে মন্তব্য করেছেন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করতে তার আশপাশে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা ঢুকে গেছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে ১১ টায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান বলেন, ৫৬ জেলায় আওয়ামী লীগের তালিকার ডিসি নিয়োগ কীসের ইঙ্গিত? ১/১১ এর কুশীলবরা আবারো সোচ্চার হয়েছে।
পুলিশে রদবদলের নামে আওয়ামী পুনর্বাসন চলছে। ৯০ শতাংশ আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী পুলিশ, সচিবালয়-প্রশাসনে এখনো সব আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা বসে আছে। আওয়ামী লীগের সেটাপ দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভবপর নয়।
তিনি আরো বলেন, এসব বিষয়ে ড. ইউনূস স্যারকে সতর্ক থাকতে হবে।
সেনাপ্রধান বলেছেন, ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন। রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সরকারকে সহযোগিতা ও যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সরকারকে কোনোরকম রাষ্ট্র সংস্কারে অসহযোগিতা আমরা মেনে নিবো না। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো আগে সম্পন্ন করে, এরপর নির্বাচন।
সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে সেটি শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে।
মানববন্ধনে মো. রাশেদ খান বলেন, লেবাননে অবস্থানরত দখলদার ইজরায়েলের দ্বারা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার প্রবাসীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরা ভোটাধিকার পাক। প্রবাসীরা দেশের সম্পদ, তারা কেন ভোট দিতে পারবেনা।
এছাড়া প্রবাসীদের লাশ সরকারি খরচে ফিরিয়ে আনাসহ বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিতে দালাল- এজেন্সির দৌরাত্ম্য বন্ধ করে সরকারিভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি করা যাবে না, তাদেরকে স্যালুট দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থান প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউন না করলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হতো না। আমি ড. ইউনূস স্যারকে ধন্যবাদ দিবো যে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে আটক হওয়ার ৫৭ জন প্রবাসীকে মুক্ত করেছেন।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা শাকিল উজ্জামান বলেন, লেবাননে ইসরাইলি হামলায় লেবাননের অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন। লক্ষাধিক প্রবাসী বাঙ্গালিসহ অনেকে কষ্টে জীবনযাপন করছে। বিভিন্ন দেশ তাদের প্রবাসীদের দেশে ফেতর নিলেও আমাদের প্রবাসী বাঙালিদের দেশে ফেরত আনার বিষয়ে সরকারের এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না। লেবাননে প্রবাসী বাঙ্গালিরা আতঙ্কে ও খাদ্যের অভাবে রয়েছে।
তিনি বলেন, লেবাননে দূতাবাসের পক্ষ থেকেও তাদের কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এই লক্ষাধিক প্রবাসী বাঙালির সাথে তাদের পরিবারের জীবন জীবিকা জড়িত রয়েছে। কারণ তারাই তাদের পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অনতিবিলম্বে সরকারের কাছে আহ্বান জানাই লক্ষাধিক প্রবাসী বাঙালিদের তাদের পরিবারের কাছে অনতিবিলম্বে ফেতর আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক, যেন তারা সুস্থ অবস্থায় দেশে ফেরত আসতে পারে।
মানববন্ধনে প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান সম্পাদক আইয়ুব আল আনসারীর সভাপতিত্বে প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. ইমরানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅভ্যুত্থানে মধ্যপ্রাচ্যে গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসী হাফেজ মুহাম্মদ, প্রবাসী অধিকার পরিষদের মিমজাল মুফতি, সিহাব উদ্দিন শিহাব প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।