চা পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পেলেও সেই সংখ্যা খুবই কম। সাধারণত রাস্তার পাশে বা টঙের দোকানে র চা, কনডেন্সড মিল্কের বা গরুর দুধের পাউডারে তৈরি চা পান করা হয়। কেউ কেউ লেমন টি, গ্রিন টি ও মাসালা চা-ও পান করেন। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন―ঢাকায় উটের দুধের চা পাওয়া যাচ্ছে।
উটের দুধের চায়ের কথা শুনে অবাক হতে পারেন, হওয়াটা স্বাভাবিক। ঢাকায় কোথায়ই বা উটের দুধ রয়েছে, এ প্রশ্ন অনেকের। সেই প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে। ঢাকার গুলশান-২ গোল চত্বরের একটু আগেই ল্যাবএইডের উল্টা দিকে ৫২ নম্বর বাড়িতে ব্যাচেলরস এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্ট। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে এই উটের দুধের চা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয়েছে রেস্টুরেন্টটি। এর কাজ চলমান থাকায় আপাতত নিচ তলায় চেয়ার-টেবিলে বসে চা পানের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। তরুণ দুই বন্ধু মাহবুব হাসান ও আমিনুল ইসলাম এই রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তা। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন তারা। মাহবুব হাসান উটের দুধের চায়ের ব্যাপারে বলেন, উটের দুধে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আমাদের দেশে উটের দুধের চা পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া এখন সময় হচ্ছে যেকোনো রেস্টুরেন্ট চলে ভাইরালের ওপর। এ কারণে ভাবলাম নতুন আইটেম হিসেবে উটের দুধের চা তৈরি করলে পছন্দ করতে পারেন মানুষ। তারা এই চায়ের জন্য এখানে আসবেন, তারপর অন্য খাবারগুলো পছন্দ হলে সেগুলো কিনবেন।
ঢাকায় উটের দুধ বিরল ও দুর্লভ হওয়ার পর প্রতিদিন কীভাবে রেস্টুরেন্টের চাহিদা অনুযায়ী দুধ সংগ্রহ করেন তারা, এ ব্যাপারে মাহবুব বলেন, দুবাই থেকে প্যাকেট দুধ আমদানি করি আমরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্যামেলিসাস ব্র্যান্ডের ক্যামেল মিল্ক পাউডার। অর্থাৎ, উটের দুধের গুড়া বা পাউডার। দুবাইতে আগের দিন জানালে পরদিন উটের গুঁড়া দুধ হাতে পান তারা। এ দুধের প্যাকেটের মেয়াদ এক বছর করে।
উটের দুধ দিয়ে চা তৈরিতে কাজী অ্যান্ড কাজী টির প্রিমিয়াস চা ব্যবহার করেন মাহবুব ও আমিনুল। চায়ের রঙে সাদার ভালোই উপস্থিতি। গাভির দুধের থেকে বেশ জোরালো গন্ধ। অনেক কড়া ও তাজা তাজা ভাব রয়েছে। চা পাতার স্বাদ ছাড়িয়ে সেই চায়ের স্বাদ তীব্র।
রমজানে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত পেরিয়ে ভোর ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে ব্যাচেলর এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্টটি। অন্য সময়ে বেলা ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে এক মগ উটের দুধের চায়ের দাম ৪০০ টাকা। আর মাসালা চা ২০০ এবং অন্যগুলো ৪০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। চা ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ফলের রস এবং পিৎজা, বার্গার, পাস্তা, মাঞ্চিসসহ অন্যান্য ফাস্ট ফুড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।