Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ঢাকার ৯টি সরকারি হাসপাতালে কেনাকাটায় ৩০৬ কোটি টাকার অনিয়ম
    অপরাধ-দুর্নীতি জাতীয়

    ঢাকার ৯টি সরকারি হাসপাতালে কেনাকাটায় ৩০৬ কোটি টাকার অনিয়ম

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কFebruary 25, 20218 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক: ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঢাকার নয়টি সরকারি হাসপাতালে ৩০৬ কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়ম হয়েছে৷ এছাড়া লোপাট বা রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা৷

    ডয়চে ভেলের হাতে আসা সরকারি অডিট রিপোর্টে এমন এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে সাংবাদিক ফয়সাল শোভন ও সমীর কুমার দে’র করা একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

    Advertisement

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাঁতের বিশেষ থ্রিডি এক্স-রে যন্ত্র (ডেন্টাল সিবিসিটি) কেনার উদ্যোগ নেয় ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল৷ এজন্য একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় তারা৷ কয়েক বছর আগে স্বাস্থ্যখাতের যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী কেনাকাটায় সর্বোচ্চ দামের ধারণা দিয়ে একটি ‘প্রাইস গাইড’ তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ সেই গাইড অনুযায়ী যন্ত্রটির বাজার মূল্য দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা৷ অথচ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল তা কিনেছে প্রায় দ্বিগুণ দামে৷

    অতিরিক্ত দাম দেখানোর জন্য একই যন্ত্রকে ভাগ করা হয়েছে তিনটি অংশে৷ এমনকি যন্ত্রের পরিচালনার সফটওয়্যারটিকেও দেখানো হয়েছে আলাদা একটি পণ্য হিসেবে৷ এভাবে এক কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার টাকার যন্ত্রের দাম দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকায়৷ এক যন্ত্র কিনতে গিয়েই লোপাট প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ টাকা৷

    এরপরও হাসপাতাল আসল যন্ত্র পেয়েছে কীনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে৷ কার্যাদেশ অনুযায়ী, ডিভাইসটি দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ভাটেক (vatech) ব্র্যান্ডের প্যাক্স আইথ্রিডি স্মার্ট (PaX i3d smart) মডেলের হওয়ার কথা৷ কিন্তু সরবরাহ করা যন্ত্রের ম্যানুয়ালের সঙ্গে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে থাকা ম্যানুয়ালের মিল নেই৷ এমনকি সেটি কোন দেশের তৈরি সে সংক্রান্ত কোন তথ্যও যন্ত্রের গায়ে পাওয়া যায়নি৷ নেই কোন বারকোড বা কিউআর কোডও৷

    এক্ষেত্রে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হলেও এর থেকে রোগীদের কোন সুফল মেলেনি৷ অদ্ভুত হলেও সত্য, বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দাম দিয়ে কেনা মেশিনটি কিভাবে চালাতে হয় হাসপাতালের কেউ তা জানেন না৷

    এই বিষয়ে ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ডা. জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘‘ক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি একা জড়িত নন৷ এই জন্য একটা কমিটি আছে৷ সেই কমিটি সব কাগজপত্র যাচাই করেই যন্ত্রপাতি কেনে৷’’ তবে একই বিষয়ে সরকারি অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাজার যাচাইয়ের কোনো প্রমাণ তারা পাননি৷

    ‘‘যন্ত্রটি কি চালু হয়েছে?,’’ এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদুর বলেন, ‘‘আমি গত ৯ জানুয়ারি এলপিআরে গেছি৷ তার আগে যন্ত্রটি চালু করা হয়েছে৷’’ তবে কবে নাগাদ সেটি চালু করা হয়, তা তিনি মনে করতে পারেননি৷

    সাবেক পরিচালক যন্ত্র চালুর কথা বললেও হাসপাতালের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর জানালেন উলটো কথা৷ ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন তিনি৷ ডয়চে ভেলেকে ডা. কবীর বলেন, যন্ত্র চালুর কথা তিনি শোনেননি এবং এখনও যন্ত্রটি বন্ধ বা অব্যবহৃত অবস্থাতেই আছে৷ হাসপাতালের বিভিন্ন সময়ের কেনাকাটা নিয়ে অভিযোগ আছে উল্লেখ করে সেসব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি৷

    করোনা ও হাসপাতালে কেনাকাটা

    গত বছর করোনা সংকট শুরুর পর দেশের কয়েকটি হাসপাতালে মাস্কসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়মের ঘটনা ঘটে৷ সেসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়৷ এমন বাস্তবতায় ঢাকার বড় নয়টি হাসপাতালের কেনাকাটার চিত্র খতিয়ে দেখতেই গত বছরের শেষদিকে বিশেষ এই নিরীক্ষা পরিচালনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অডিট অধিদপ্তর৷ তাতেই ‘গুরুতর আর্থিক অনিয়ম’ ও ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ অসংখ্য উদাহরণ মিলেছে৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

    করোনা রোগীদের চিকিৎসায় গত বছর এই হাসপাতালটিকেই সবার আগে বেছে নেয় সরকার৷ এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকেই বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনতে শুরু করে৷ এর মধ্যে আছে আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্য এয়ার ফিল্টার, করোনা পরীক্ষার পিসিআর সেট আপ, সিরিঞ্জ পাম্পসহ বিভিন্ন ভারি যন্ত্রপাতি৷ এসব কেনাকাটায় নিয়ম অনুযায়ী বাজার দর বিশ্লেষণ ও আনুষ্ঠানিক হিসাব (অফিসিয়াল এস্টিমেট) অনুমোদনের কথা থাকলেও এক্ষেত্রে তার কিছুই করা হয়নি৷ প্রায় নয় কোটি টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয় আলী ট্রেডার্স নামের এক প্রতিষ্ঠানকে৷ এমনকি যন্ত্রপাতি সরবরাহের আগেই তাদেরকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে৷ বিভিন্ন যন্ত্রের কয়েক গুণ বেশি দাম দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি লোপাট করে চার কোটি টাকার বেশি অর্থ৷

    যন্ত্রপাতি সরবরাহের আগেই ঠিকাদারকে টাকা পরিশোধের বিষয়টি অস্বীকার করলেও অতিরিক্ত দামের কথা স্বীকার করেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে দাম কিছু বেশি হতে পারে৷ কিন্তু তখনকার প্রেক্ষিতে আমাদের কিছুই করার ছিল না৷…বেশিকম কিছুটা হয়েছে৷ আর ব্যবসায়ীরা এটা (টাকা বেশি নেয়া) তাদের কিছুটা অধিকার হয়ে গিয়েছিল হয়ত, কারণ তারা করোনার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে৷ তবে ওরা ঠিক করে নাই৷ কিছুটা এদিক সেদিক হয়েছে৷’’ তিনি দাবি করেন, বেশি দামে জিনিস কিনে হলেও করোনার রোগীদের তারা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন৷ তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিবও মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যত টাকাই লাগুক না কেন মানুষকে সেবা দিতে হবে৷ সেই সময়ে তাদের পক্ষে দর বিশ্লেষণ বা দর অনুমোদনের সুযোগ ছিল না৷ তিনি বলেন, ‘‘নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যা এসেছে সেটাও ঠিক, আবার আমরা যেটা করেছি, সময়ের প্রয়োজনে সেটার হয়ত দরকার ছিল৷’’

    অবশ্য অতিরিক্ত দামে যন্ত্র কেনার বিষয়ে করোনা পরিস্থিতির যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিরীক্ষাতে৷ কারণ, যন্ত্রপাতিগুলো যখন কেনা হয়েছে তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল৷

    আরো সাত হাসপাতাল

    শুধু এই দুইটি নয়, গত অর্থবছরে রাজধানীর আরো সাতটি সরকারি হাসপাতালের কেনাকাটার চিত্র কমবেশি একই৷ শুধু বাজার মূল্য থেকে বেশি দামে ঔষধ কিনে চারটি হাসপাতাল অতিরিক্ত ব্যয় করেছে এক কোটি ৬১ লাখ টাকা৷ বিভিন্ন এমএসআর পণ্যে বাজার দরের চেয়ে দুই কোটি ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বেশি ব্যয় করা হয়েছে৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী না নিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনায় ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার টাকা৷ এমনকি চাহিদা না থাকার পরও ১১ কোটি ৪১ লাখ টাকার অতিরিক্ত চিকিৎসা সামগ্রী কিনে মজুদ করা হয়েছে৷ যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে এক কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নষ্ট হয়েছে৷ অবাক করা বিষয়- তিনটি হাসপাতাল কোন কিছু না কিনেই খরচ করেছে তিন কোটি ৩১ লাখ টাকা ৷

    এছাড়াও যোগসাজশে কেনাকাটা, নিম্ন দরদাতার পরিবর্তে উচ্চ দরদাতার কাছ থেকে কেনা, নিম্নমানের ও ব্যবহার অনুপযোগী পণ্য ক্রয়, ভাণ্ডারে পণ্যের হিসাব না পাওয়া, ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ না করা, এমন কুড়ি ধরনের অনিয়মের উদাহরণ পেয়েছেন নিরীক্ষাকারীরা৷ এভাবে নয়টি হাসপাতাল মোট ৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করেছে মাত্র এক বছরে৷ ৩০৬ কোটি টাকার কেনাকাটা হয়েছে সরকারি বিধান বা নিয়ম ভেঙ্গে৷ এই নয়টি হাসপাতাল হলো মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান ৷

    নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একবছরের কেনাকাটায় সার্বিকভাবে ৯৫টি আপত্তির কথা উল্লেখ আছে৷৷ এসব কারণে জনগণের বিপুল যে অর্থের অপচয় হয়েছে তা দায়ীদের কাছ থেকে আদায়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে, যা জমা পড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও৷ এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি৷

    তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘সেসময়ের অনিয়মগুলো নিয়ে দুদকেও তদন্ত চলছে৷ আমাদের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়া হচ্ছে আমরা সেগুলো পাঠাচ্ছি৷ বিভিন্নজনকে তারা তলবও করছে৷’’ এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব অস্বীকারের উপায় নেই উল্লেখ করে ডা. আলম বলেন, করোনা ও টিকা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে তাদের অন্যদিকে তাকানোর এতদিন সুযোগ ছিল না৷ ‘‘আপনারা তো জানেন অনিয়মের কারণে কয়েকটি হাসপাতালের পরিচালককে তখন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাদের ব্যাপারে আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে৷ অন্য যেগুলো আছে সেগুলো নিয়েও ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ এক্ষেত্রে কারো রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই,’’ বলেন তিনি৷

    একদিকে অপচয়, অন্যদিকে ঘাটতি

    রাজধানীর নয়টি হাসপাতাল মিলে যখন প্রায় ৫৫ কোটি টাকা অপচয় করে তখন দেশের অনেক জেলা বা থানা পর্যায়ের হাসপাতালে অর্থের অভাবে জনগণের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা মিলে না৷ ধরা যাক পঞ্চগড়ের বোদা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কথা৷ গত ১৮ বছর ধরে সেখানে কোন এক্স-রে মেশিন নেই৷ আগেরটি অকেজো হওয়ার পর নতুন করে আর মেলেনি৷ বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন ডা. রাজিউল ইসলাম রাজু৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে সেবা নিতে আসেন৷ আগের মডেলের একটি এক্স-রে মেশিনের দাম পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা৷ নতুন মডেলের একটি মেশিনের দাম ১৫-১৬ লাখ টাকা৷ আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় এক বছর হল এক্স-রে মেশিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে৷ তিন দফা রিমাইন্ডারও দেওয়া হয়েছে৷ অথচ মেশিনটি না থাকায় এখানকার সাধারণ মানুষকে জেলা সদরে গিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে৷’’

    অথচ নয় হাসপাতাল মিলে যা অপচয় করেছে সেই টাকা দিয়ে এমন ৩৬০টি এক্স-রে মেশিন বা একই দামের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী কেনা সম্ভব৷ এমনকি এই টাকা দিয়ে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট দুইটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা যেত, যার মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে কয়েক লাখ নাগরিকের জরুরি সেবা নিশ্চিত হতো৷

    এই বিষয়ে টিআইবির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অবারিত দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্যখাতে একদিকে সেবার মান, অন্যদিকে সেবার পরিমাণ দুটো থেকেই মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে৷ এই চিত্র অত্যন্ত প্রকট৷ এখানে মূল সমস্যা হল অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবীক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এই ধরনের দুর্নীতিগুলো হচ্ছে৷’’ চলতি বছর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবনতির এটি অন্যতম কারণ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে একটি দেশে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট হওয়া উচিত জিডিপির অন্তত পাঁচ শতাংশ৷ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির হিসাবে বাংলাদেশে তা এক শতাংশেরও কম৷ ড. ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের বরাদ্দ বিব্রতকর ঠিকই কিন্তু শুধু বাজেট বাড়িয়ে এই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়৷ জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করে বরাদ্দ বাড়ালে যারা দুর্নীতি করছে তারা আরো অবৈধ অর্থ ও সম্পদের মালিক হওয়ার সুযোগ পাবে৷

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    মৌলভীবাজার সীমান্ত

    মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে বিএসএফের পুশইন

    July 3, 2025
    বান্দরবানের রুমায় সেনা

    রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ ২ সদস্য নিহত

    July 3, 2025
    চোরাই স্বর্ণ

    চোরাই স্বর্ণের গহনা পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়ের সূত্র ধরে স্বামী গ্রেপ্তার

    July 3, 2025
    সর্বশেষ খবর
    কথায় কথায় থানা ঘেরাও

    কথায় কথায় থানা ঘেরাও কি চলতে থাকবে : মোস্তফা ফিরোজ

    বার্ষিক রপ্তানী বাড়লেও কমেছে জুনে

    বাড়ছে লাম্পি স্কিন রোগ

    বাড়ছে লাম্পি স্কিন রোগ, আতঙ্কিত গোয়ালন্দের কৃষক-খামারিরা

    মৌলভীবাজার সীমান্ত

    মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে বিএসএফের পুশইন

    বান্দরবানের রুমায় সেনা

    রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ ২ সদস্য নিহত

    জানুন:বাংলা ব্যাকরণ

    জানুন:বাংলা ব্যাকরণ শেখার সহজ উপায়

    সম্পর্ককে মজবুত করার

    সম্পর্ককে মজবুত করার ইসলামিক উপায়: দাম্পত্য সুখের চাবিকাঠি

    কম খরচে স্টাইলিশ

    কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায়:সহজ টিপস!

    থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    এক দিনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া

    কম খরচে হালাল ভ্রমণ

    কম খরচে হালাল ভ্রমণ: আপনার স্বপ্নের গন্তব্য

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.