জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা-১০ ও গাইবান্ধা-৩ আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে সংসদ সচিবালয়। শূণ্য ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে আসন দু’টিতে উপ-নির্বাচনের আয়োজন করবে কমিশন। শূণ্য ঘোষণার চিঠি পাওয়ার পর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী মার্চে এই দু’টি আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপসের সদ্য শূণ্য ঘোষিত ঢাকা-১০ আসন ও সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরকারের গাইবান্ধা-৩ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য পদত্যাগ করায় তাপসের আসনটি ২৯ ডিসেম্বর শূণ্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তার আসনটি শূন্য ঘোষণার চিঠি ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে সংসদ সচিবালয়। সে মোতাবেক ২০১৯ সালে ২৭ মার্চ হচ্ছে এ আসনে উপ-নির্বাচনের শেষ সময়। আর গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরকার ২৭ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করায় তার আসনটিও শূণ্য ঘোষণা করে ইসিকে জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়। এক্ষেত্রে তার আসনটিতে উপ-নির্বাচন আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধানের ১২৩(৪) দফায় বলা হয়েছে- ‘সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।