জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঢাবি প্রশাসনের করা হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার হয়েছেন চার শিক্ষার্থী।
বরিশাল বিএম কলেজের মেধাবী ছাত্র তোফাজ্জাল মা-বাবার মৃত্যুর পর কয়েকবছর ধরেই ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। গেল বছর ক্যানসারে মারা যান তার একমাত্র ভাইটিও। তারপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ স্বজন ও পরিচিতদের কাছ থেকে চেয়ে-চিন্তে খাবার খেতেন তিনি।
এদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জেলের ওপর চলা নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন প্রতক্ষ্যদর্শী এক শিক্ষার্থী। দৈনিক এক সংবাদপত্র কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওকে মূলত গেস্টরুমেই মেরে ফেলা হয়েছে। সুমন মারার সময় ওর পায়ের মাংস বের হয়ে এসেছিল। আমি দেখার পরে বলেছি তুমি আর কত মারবা? তখন সে বলে, তোমার ফোন নিলে তুমি বুঝতে। তার হাতে-পায়ে, মাথায় সব জায়গায় স্ট্যাম্প দিয়ে মেরেছে। এক পর্যায়ে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লে পানি এনে তোফাজ্জেলকে খওয়ানো হয়। পরে ফের মারধর করা হয় তাকে।
অনুজদের হাত থেকে তোফাজ্জেলকে রক্ষা করতে চাইলে উল্টা মারধরের শিকার হন এই শিক্ষার্থী। হত্যার সাথে জড়িত ছিলো কারা? – এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুমন এসে ওর ভ্রুগুলো কেটে দিয়েছিল, পরে ফিরোজ মেরেছে, আব্দুস সামাদ, জালাল এরা সবাই মেরেছে। জালাল লাইটার নিয়ে ওকে আগুন লাগিয়ে দাও বলে তোফাজ্জলের গলার কাছে জ্বলন্ত লাইটার ধরে বলেও জানান এই শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে ভিডিও ফুটেজেও তোফাজ্জলকে জালাল মারছে বলে দেখা যায়। যদিও বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, প্রাইমারি দুই স্টেজের খবর আমি জানি না। শেষে কিন্তু ওকে মারাও হয়নি। ওকে তো আমরা পানি খেতে দিয়েছি।
নিহত তোফাজ্জলকে বাঁচাতে একটা সময় গেস্ট রুমে নিয়ে যায় কিছু শিক্ষার্থী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, বরং বাড়ে নির্যাতন। একটা সময় নিস্তেজ হয়ে পড়লেও হারানো মোবাইল ফিরে পেতে, উস্কে দিয়েই চলে হামলা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। সূত্র : চ্যানেল 24
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।