জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার হওয়ার পর ঢাবির সিনেট থেকে পদত্যাগ করায় প্রশংসিত হন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভন। অন্যদিকে একই অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী সমালোচনা করছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ডাকসুর জিএস পদ থেকে রাব্বানীর পদত্যাগের দাবিতে গত তিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাম ছাত্র সংগঠনগুলো আন্দোলন করছে। মঙ্গলবার শিক্ষা দিবসে ডাকসুর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ডাকসুর জিএস রাব্বানী।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাব্বানী বলেন, পদত্যাগ করার প্রশ্নই ওঠে না। শোভন ছাত্রলীগের পদাধিকার বলে সিনেট সদস্য হয়েছিল। তাই পদ থেকে সরে যাওয়ায় পর সে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেখান থেকে পদত্যাগ করে। আমি শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত জিএস।
শোভনের পদত্যাগের কারণে কোনো চাপ অনুভব করছেন কিনা জানতে চাইলে রাব্বানী বলেন, না কোনো চাপ অনুভব করছি না। সে তার ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছে। আমি আমার রুটিন ওয়ার্ক কাজ শুরু করব শিগগিরই।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তার পদত্যাগের বিষয়ে আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, কে কী বলল সেদিকে খেয়াল করছি না।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাইম বলেন, শোভনের পদত্যাগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু একইভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত রাব্বানীর ডাকসুর নেতৃত্ব দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
ডাকসুর ভিপি নুরল হক নুর বলেন, চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকা, শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হওয়া গোলাম রাব্বানীর স্বেচ্ছায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) থেকে পদত্যাগ করা উচিত।
চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার গত সোমবার উপাচার্য কার্যালয়ে গিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা শোভনের পক্ষে পদত্যাগের চিঠি দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৬ জুন। এতে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়। বাকি তিনজন হলেন- ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী ও সদস্য তিলোত্তমা শিকদার।
শোভনের পদত্যাগ ছড়িয়ে পড়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসিত হন ছাত্রলীগের এই নেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষার্থীরা এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানায়। ‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপে এম এ হাসেম শোভন নিয়ে লেখেন- ‘তোমাকে নিয়ে না লিখে পারলাম না শোভন। সবার হৃদয়ের মাঝে তোমার নাম লিখা থাকবে আজীবন। তুমি কেমন উঁচু মনের মানুষ, সেটা তুমি বারংবার প্রমাণ করে যাচ্ছো’। অন্য একটি পোস্টে জাহিদ হাসান নামে একজন কমেন্ট করেন- ‘শোভন আর রাব্বানীর পার্থক্য এই জায়গায়’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।