জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) করোনা ইউনিটে দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। চালু হওয়ার পর গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৩৩ জন রোগী। এদের মধ্যে ২৩ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ, বাকিরা করোনা সাসপেক্টেড (সন্দেহভাজন)।
আজ বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালের মর্গ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গত ১২ দিনে ঢামেকের নতুন কভিড-১৯ ইউনিটে মারা গেছে ১৩৩ জন। গত ২ মে রোগী ভর্তি শুরু হয়। সেদিন ভর্তি শুরু হতে না হতেই মারা যায় একজন। এরপর থেকে একে একে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঢামেকের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ঢামেকে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ১৮৯ জন। এর মধ্যে আইসিউতে আছেন ১০ জন। ৯০ জন রোগী কভিড-১৯ পজিটিভ। এ পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগী ১২০০ বেশি। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন। আবার অনেকেই হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে পালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঢামেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, যেকোনো রোগী হাসপাতালে এলেই সবাই করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়া করোনার আগে আমাদের হাসপাতালে নরমালি প্রতিদিনই মৃত্যু হতো ২৫ থেকে ৩০ জনের। সে অনুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু এখন কম। যেমন ধরুন গতকালকে করোনায় দু’জন মারা গিয়েছে। শনিবার থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে পারবে। ঢামেকের করোনা ইউনিট-২ এর জন্য ডাক্তার-নার্স সবারই রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। ওয়ার্ডবয়রাও প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


