জুমবাংলা ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসা পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের দাবি মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ বিষয়ে আন্দোলনরত দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আজ চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের’ রূপরেখা বিষয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে সাহিত্য পরিষদ চত্বরে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। অতএব, আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এমন নির্বাচনে যাবো না, যে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়, যে নির্বাচনে জনগণ থাকে না, ভোটার থাকে না, থাকে পশুপাখি। সে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
তিনি বলেন, ‘খুন, গুম ও গায়েবি মামলাসহ সকল কিছু মোকাবিলা করে জাতীয়তাবাদী দল এখনও টিকে আছে। আমরা স্পষ্টভাবেই বলছি- রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। আমরা এটা মানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমরা মনে করি ১০ হাজার মাইল নয়, ইতিহাস আছে অনেক নেতাই বাইরে থেকে দেশের উন্নয়ন ও দেশের রাজনীতি কন্ট্রোল করতে পারে। সে জন্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা তারেক রহমানও দূরে থাকলেও সুষ্ঠুভাবেই দল পরিচালনা করে যাচ্ছেন।’
জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা প্রমুখ। কর্মশালায় জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।