খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় তরমুজ চাষের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বীজ রোপণ ও পাশাপাশি সার, পানি, কীটনাশক ছিটানোর কাজে। চাষীরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তরমুজ চাষে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন।
তবে তারা পুরোপুরি চিন্তামুক্ত নন। পানি সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফসল ঘরে তুলতে পারলেই কৃষকরা খুশি হবেন। খাল-বিলে পানি সংকট চলছে। অনেক দূর থেকে সেচের পানি পাম্প থেকে আনতে হচ্ছে। কৃষকরা নিকটস্থ কৃষি অফিস থেকে তেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন না। রোপণ করার জন্য ভালো মানের বীজ তারা পাননি। তাছাড়া দুর্বল বিপণন ব্যবস্থা ও পোকাপাকড়ের আক্রমণ নিয়ে টেনশন তো আছেই।
অপরিকল্পিতভাবে নামকাওয়াস্তে খাল খনন, বাঁধ, ইজারা দিয়ে মাছ চাষসহ বিভিন্ন কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। একই সঙ্গে বাজারে ভালো বীজ না পাওয়া, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ, দুর্বল বিপণন ব্যবস্থাও দুশ্চিন্তার কারণ তাদের। অভিযোগ কৃষি অফিসও আশানুরুপ সহযোগিতা করছে না।
জয়দেব মণ্ডল নামের এক চাষি বলেন, ‘কম বিনিয়োগ আর কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় তরমুজ চাষ করছি বছর দুই ধরে। তবে তরমুজ চাষের শেষ সময়ে সেচ সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। তখন উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।’
মিয়া সোবহান নামের আরেক চাষি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত পানি না পেলে ফলন হবে না, আমরা শেষ হয়ে যাব।’ বাজারে ভালো বীজের সহজলভ্যতা নিশ্চিতের পাশাপাশি নদী-খালের ইজারা অবুমক্ত এবং খনন করে তরমুজ চাষের জন্য সেচ ব্যবস্থার দাবি তার।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নদী-খাল ইজারামুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ে লিখেছেন তারা। একই সঙ্গে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শসহ পানি সংকট মেটাতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যেগ।
তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে বিনিয়োগের তিনগুণ লাভ হওয়ায় দিন দিন কৃষক ঝুঁকছেন তরমুজ চাষে। তরমুজে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে উপকূলের কৃষি অর্থনীতি।
তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খুলনার উপকূলীয় পাঁচ উপজেলার ১৭ হাজার ২৯১ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। যা থেকে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।