আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বীরভূমে এক তরুণীর পেটে অস্ত্রোপচার করে প্রায় দুই কেজি সোনার গয়না পেয়েছেন চিকিৎসকরা। এসময় ৬০টি মুদ্রাও পাওয়া যায়।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ওই তরুণী পেটে ব্যথা আর বমির সমস্যা নিয়ে রামপুরহাটের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা এক্স-রে করে বুঝতে পারেন, তার পেটে ধাতব পদার্থ রয়েছে। এর পর গতকাল বুধবার সেই অপারেশন হয়।
প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ধরে চলা অপারেশনের পরে পাকস্থলী থেকে বের করা হয় ওই গয়না আর মুদ্রা।
ওই তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, সে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। খিদে পেলেই গয়না বা হাতের কাছে যা পেত – তাই খেয়ে নিত।
রুনি খাতুন নামের ওই রোগীর চিকিৎসক সিদ্ধার্থ বিশ্বাস বিবিসি বাংলাকে বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে মেয়েটি হাসপাতালে এসেছিল। তার পেটে ব্যথা আর বমি হচ্ছিল। আমরা এক্স-রে করাই। সেখানেই ধরা পড়ে যে পাকস্থলীতে ধাতব পদার্থ আটকে রয়েছে। তখন অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। গতকাল এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন করেছি আমরা ৫ জন ডাক্তার। তারপরেই ওই সোনার গয়না আর মুদ্রা পাওয়া গেছে।
অপারেশনের শেষে পাকস্থলী থেকে বের করা জিনিসের তালিকা তৈরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে রয়েছে ৬৯টি গলার হার, ৮০টি কানের দুল, ১৯ টি আংটি, ৪৩টি পায়ের নূপুর, ১১টি নাকছাবি, ৪টি মার্বেল গুলি আর ৪টি চাবি একটি ঘড়ি।
পাকস্থলীতে পাওয়া গয়নার ওজন দাঁড়িয়েছে ১ কেজি ৬৮০ গ্রাম। এর সঙ্গে রয়েছে মুদ্রার ওজন।
ডা. বিশ্বাস বলেন, এই পরিমাণ ধাতব পদার্থ পাকস্থলীতে আটকিয়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পেটে ব্যথা হবে। তবে এখন রোগী সুস্থ আছেন। ওর মানসিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।