
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে জেলা প্রশাসকদের কাছে পত্র প্রেরণ করে এই নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
আজ খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে জেলা প্রশাসকদের নিকট প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে যারা ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকাভুক্ত রয়েছে তাদেরকে এ তালিকার বাইরে রেখে যাদের কার্ড নেই এমন দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের নামে তালিকা তৈরি করে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে মাসিক ২০ কেজি বা পাক্ষিক ১০ কেজি করে চাল করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণ করতে হবে।’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত বোরো ও আমন মৌসুমে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সংগ্রহ অভিযানে নিজেদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে ধান-চাল সংগ্রহ করেছে বিধায় সরকারি গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রাখা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মহামারী করোনার সময়ও খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ ডাক্তারদের মতোই জীবন বাজি রেখে ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ করে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, সামনে বোরো মৌসুমেও তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন করবে। তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের এ সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার আহ্বান জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সবাইকে দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, যদি কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় মামলা সহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ডিলার সহ যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে ডিলারশিপ বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।