আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া এবং নতুন আফগান রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে।
বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে–– ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিপাক্ষিক গঠনমূলক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।’
উল্লেখ্য যে কিছু দেশ আফগান দূতাবাসের কিছু অংশ তালেবান প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেছে, কিন্তু এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার পার্লামেন্ট তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি আইনের পক্ষে ভোট দেয়, যা রাশিয়ার নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে তালেবানকেও বাদ দেবে।
রাশিয়ার এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন পশ্চিমা কূটনীতিকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তালেবান সরকার নারী অধিকারকে সম্মান না করা পর্যন্ত তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার পথ বন্ধ।
প্রায় ২০ বছর পর ২০২১ সালে তালেবানরা আবারও আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর তারা নারীদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করে।
সেখানে নারীদের কাজ করার বা পড়াশোনার অনুমতি নেই, এমনকি তাদের ঘর থেকে বের হওয়ার জন্যও একজন মাহরামের প্রয়োজন।
উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের অগাস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর, কোনো দেশই তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া ধীরে ধীরে তালেবানদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
আফগানিস্তান ও রাশিয়ার ইতিহাস বেশি জটিল ও রক্তক্ষয়ী।
১৯৭৯ সালে, যখন হাজার হাজার প্রাক্তন সোভিয়েত সেনা আফগানিস্তানের বামপন্থি সরকারকে সমর্থন করার জন্য কাবুলে যায়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আফগান মুজাহিদিনদের সাথে দীর্ঘ যুদ্ধে ১৫ হাজারের মতো সোভিয়েত সৈন্য নিহত হয়। পরে ১৯৮৯ সালে, সোভিয়েত বাহিনীগুলো আফগানিস্তান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।-বিবিসি
বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।