স্পোর্টস ডেস্ক : এক আউটেই তুমুল হইচই। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে কাল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ‘টাইমড আউটে’র আবেদন করবেন, তা কল্পনাতেও আসেনি কারও! আসার কথাও নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন আবেদন আগে কেউ কখনো করেননি। এভাবে আউটও কেউ হননি।
নিয়মের মধ্যে থেকেই অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আবেদন করেছেন। যেহেতু সাকিব আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছিলেন, প্রথমে মনে হয়েছিল এটা তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। ম্যাচ শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাঁকে আবেদন করতে উৎসাহিত করেছিলেন দলের এক ফিল্ডার। সাকিব সংবাদ সম্মেলনে বলছেন, ‘আমাদের এক ফিল্ডার আমার কাছে এসে বলল, আপনি যদি আবেদন করেন, নিয়ম অনুযায়ী সে আউট। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে গার্ড নিতে পারেনি। তখন আমি আম্পায়ারের কাছে আবেদন করি।’
কোন খেলোয়াড় আপনাকে আবেদন করার বুদ্ধি দিয়েছিলেন—এই প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘নাম বলা যাবে না।’ তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাকিবকে পরামর্শটা দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল যাঁর ব্যাটও হেসেছে দলকে স্বস্তির জয় এনে দিতে।
আইন অনুযায়ী ঠিক থাকলেও খেলার চেতনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। তবে সাকিবের মোটেও অনুশোচনা নেই এ ঘটনায়। কেন, সেই ব্যাখ্যায় তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আজকের (কাল) ম্যাচে আমাদের জেতার দরকার ছিল। আমরা যদি যুদ্ধে নামি, যুদ্ধে আপনার দলের কিংবা দেশের জন্য সবই করতে রাজি থাকা উচিত। আমি সেটিই করেছি।’
বিতর্কিত জেনেও দেশের স্বার্থে এই আবেদনই শুধু করেননি সাকিব, ম্যাচটা ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলকে জিতিয়েছেন। এমনকি ব্যাটিংয়ের সময় লঙ্কানদের স্লেজিংয়ের যন্ত্রণাও সইতে হয়েছে তাঁকে। এর সঙ্গে সমালোচিত হতে হচ্ছে চেতনার প্রশ্নে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।