জুমবাংলা ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি জামিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোরে মাগুরা জেলার ভায়না মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জামিরুল উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের কনির উদ্দিনের ছেলে ও তিন্নির মেজো বোন ইফফাত আরা মিন্নির সাবেক স্বামী।
গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে জামিরুল ও তার সহযোগীরা তিন্নিদের বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর ও তার উপর পাশবিক নির্যাতনের পর রাত ১২টার দিকে রুম থেকে তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় তিন্নির মা বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় আগেই ৪ আসামী শেখপাড়া গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে আমিরুল, নজরুল, লাবিব ও তন্ময়কে গ্রেফতারকরে পুলিশ।
তিন্নির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামরার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মহসিন হোসেন জানান, তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় মায়ের দায়ের করা মামলার প্রধান আসাসি ও মেঝ বোনের সাবেক স্বামী জামিরুলকে মাগুরা শহরের ভায়নার মোড় থেকে ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শৈলকুপা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, তিন্নি উপর নির্যাতন ও পরে তার রুম থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে একটু পরপরই স্থান পরিবর্তন করছিল। মাগুরার ভায়না মোড় দিয়ে কোথাও যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় শৈলকুপা থানার পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তিন্নি শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর কন্যা।
এদিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘উলফাত আরা তিন্নিকে ধর্ষণ বা নির্যাতনের আলামত পাওয়া যায়নি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।