গোপাল হালদার, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে তীব্র দাবদাহের মধ্যে দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টির। দীর্ঘ অপেক্ষার পর পটুয়াখালীর আকাশে মেঘের গর্জন। প্রায় এক ঘণ্টার এ বৃষ্টি যেন শীতলতার এক প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দিয়েছে।
সোমবার (৬ মে) বিকাল সারে ৪ টার দিকে পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় এ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি না হলেও অন্যান্য এলাকায় আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে।
একদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং অপরদিকে প্রচন্ড গরমে মানুষের জীবন যখন ওষ্টাগত, ঠিক তখন দেখা মিললো কাঙ্ক্ষিত প্রশান্তির বৃষ্টির। এতে ক্ষণিকের জন্য হলেও মানুষের মধ্যে স্বস্তি মিলেছে।
রিক্সা চালক জব্বার মিয়া জানান, অবশেষে বহুকাঙ্খিত বৃষ্টি ঝড়েছে জয়পুরহাটে। আজ বিকেল চারটার কিছু পরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টি নামে। সেই সাথে প্রচন্ড খরতাপে অস্থির জনজীবনে নেমে আসে স্বস্তি।
আবু হাসান সিকদার নামে একজন বলেন, বৃষ্টিতে জনমনে স্বস্তি নেমে এসেছে। বৃষ্টি ও হিমেল বাতাসে শরীর ও মন দুটোই ঠান্ডা হয়ে গেছে। এবারের মতো এমন তাপপ্রবাহ আগে কখনো পড়েনি। প্রচণ্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল মানুষ। অবশেষে সবাই বৃষ্টির দেখা পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনে-রাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে না। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



