জুমবাংলা ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দুই হলের ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। খবর ইউএনবি’র।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় খাবার দোকানে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বটতলার একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন ভাসানী হলের ৪৫তম ব্যাচের ছাত্র সৌরভ কাপালি। এ সময় ওই দোকানে মিষ্টি খেতে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪৬তম ব্যাচের দুই শিক্ষার্থী। এসময় সৌরভের সাথে তাদের ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাদেরকে থাপ্পড় দেন। এ থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের শুরুতে উভয় হলের শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। চলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা গুলি চালান। প্রায় ১৪ রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, ভাসানী হলের শিক্ষার্থীদের হাতে চাপাতি নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়।
আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, মারামারির ঘটনা ভিডিও করার কারণে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিক সিয়ামকে মারধর করা হয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার সময় প্রক্টরিয়াল টিমকে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। প্রক্টরিয়াল টিমের তিন সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মারামারি ঠেকানোর চেষ্টা না করে উল্টো ভিডিও ধারণ করতে থাকেন।
প্রায় আধা ঘণ্টা পর প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তাদের সামনেই চাপাতি নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় ভাসানী হলের শিক্ষার্থীদের।
১৪ রাউন্ড গুলির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রক্টর বলেন, তিনি শব্দ শুনেছেন। তবে এটা গুলির নাকি ফটকার শব্দ তা তিনি নিশ্চিত নন।
এদিকে দুই হলের মারামারির ঘটনায় পুলিশ ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুলিশ আসতে কেন দেরি করেছে এমন প্রশ্নে প্রক্টর বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই পুলিশকে আসতে ফোন করেছিলাম। কিন্তু তারা আসতে দেরি করেছে।’
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। আর আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে দুই হলের প্রভোস্ট এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।