তুলা চাষে বাজিমাত, ১০ হাজার টাকা খরচে বিঘা প্রতি লাভ ৫০০০০!
জুমবাংলা ডেস্ক: কম খরচে বেশি লাভ হয় বলে স্থানীয় চাষিরা তুলা চাষে ঝুঁকছেন। উৎপাদিত তুলা বাজারজাত করা সহজ। তুলার বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা তুলা চাষ করে লাভবান হতে পারেন। জামালপুরে বেড়েছে তুলা চাষ। স্থানীয় কৃষক ওয়াহেজ মিয়া তুলা চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
ওয়াহেজ মিয়া জামালপুরের পাথালিয়াচর এলাকার বাসিন্দা। অন্য কৃষকদের লাভবান হতে দেখে তিনি তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তুলা চাষে সময় বেশি লাগে বলে অনেকে চাষ করতে চায় না। তবে এর চাষে উৎপাদন বেশি এবং বাজারদর ভালো থাকায় লাভও বেশি হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দিন দিন তুলা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। চাষিরা বিঘা প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে ১২-১৫ মণ ফলন পান।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র মতে, জেলা সদরের পিয়ারপুর, গোপালপুর, ঘোড়াধাপ, পাথালিয়াচর, নাউভাঙ্গাচর, গুয়াবাড়িয়া, জঙ্গলদীচরসহ মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার বনাঞ্চল-চরাঞ্চলে ৩শ হেক্টর জমিতে সিবি-১২, সিবি-১৪, সিবি-১৫, রুপালি-১, ডিএম-৪, শুভ্র-৩, হোয়াইট গোল্ডসহ উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলা চাষ করা হয়েছে।
ওয়াহেজ মিয়া বলেন, আমি বর্তমানে ২২ শতক জমিতে তুলা চাষ করেছি। চাষে খরচ হয়েছে ৯ হাজার টাকা। বর্তমানে এক মণ তুলার দাম ৩৫০০-৩৮০০ টাকা। ১ বিঘা জমিতে প্রায় ১২-১৫ মণ তুলা উৎপাদন করা যায়। এখন তা বেড়ে ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে। ফলে এই বছর তুলার উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছি। বর্তমানে তুলা চাষ অনেক বেড়েছে। আগে ২৮ জন কৃষক তুলা চাষ করতেন।
জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা চাষিদের সার, বীজ ও কীটনাশক ফ্রিতে সরবরাহ করেছি। এছাড়া আমরা চাষিদের সকল ধরণের সাহায্য সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে তারা তুলা চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। তুলার বৃদ্ধি বাড়লে আমদানির হার ও কমে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় তুলার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। ফলে দেশে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।