আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (৭ মার্চ) দুই দেশের প্রতিনিধিরা তৃতীয় দফায় বৈঠক করতে যাচ্ছেন। তবে কোথায় এবং কখন বৈঠকটি হবে তা এখনো স্পষ্ট জানা যায়নি। খবর আল জাজিরা’র।
শান্তি আলোচনার জন্য দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। তৃতীয় দফার বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া। রাশিয়ার তরফ থেকেও শুধু বলা হয়েছিল সোমবার বৈঠক হতে পারে।
এর আগে যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বের হতে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের দুই দফা আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তারা।
বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই। তবে দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। সেসময় কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।
পরে গত বৃহস্পতিবার আবারও বৈঠক হয় দুপক্ষের। উভয়পক্ষ বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ‘মানবিক করিডোর’ নির্মাণে সম্মত হয়। পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আগামীতে উভয়পক্ষ আবারও বৈঠকে বসার কথা জানায়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলারুশে বৈঠক শেষে টুইটারে এসব কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।
তবে, ক্রেমলিন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মারিউপোল থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা রোববার ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ভেসতে যাওয়ার কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরকে দোষারোপ করছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১২ লাখের মতো মানুষ দেশ ছেড়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে ৪০ লাখ নাগরিক ইউক্রেন ছাড়তে পারে। তবে তাদের আশ্রয় দিতেও ইউরোপ প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভ ছেড়ে এসব নাগরিক ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় প্রবেশ করছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।