জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানকে গণবাহিনীর ডাকাত বলে আখ্যায়িত করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।
মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী দেয়া বক্তব্য থেকে আরো শোনা যায়, তেলাপোকাও পাখি আর শাজাহান খানও মানুষ। মাদারীপুরে একটি কাগজের বাঘ রয়েছে, তাকে ধরে খাঁচায় ভরে ফেলবো বলেও মন্তব্য করেন নিক্সন চৌধুরী।
সাম্প্রতি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ বক্তব্য দেন। বক্তব্য দেয়া (রেকর্ডকৃত) একটি ভিডিও যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
রেকর্ডকৃত ৯ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের। অনেকে ইনবক্স ম্যাসেজ দেন। কেউবা আবার শেয়ারও করছেন। এতে তোলপাড় শুরু হয় মাদারীপুর জেলা জুড়ে।
এ নিয়ে শাজাহান খান সমর্থিত নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করে শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে। মাদারীপুর শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করেন নেতাকর্মীরা। সেখানে স্লোগান দেন শাজাহান খান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই। নেতাকর্মীরা আরো বলেন, নিক্সন চৌধুরীর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে।
তিনি বলেন, খাল খননের সময় যদি ভাঙ্গা উপজেলার মধ্য থেকে এক কোদাল মাটি কাটা হয়। তাহলে শাজাহান খানের বাড়িঘর কেটে নিয়ে আসবো। তার রাজনীতির ১২টা বাজাইয়া ছাড়বো। আমার সাথে খেলতে আইসেন না শাজাহান খান। কারণ, আমার জন্মের পর আমার বাপে পেলেয়ার বানাইছে। শাজাহান খান আপনি ভাড়ায় খেলতে আইসেন না। নিক্সন চৌধুরী যদি খেলতে যায়, তাহলে আপনার মাটিসহ কেপে যাইবে।
শাজাহান খানের চরম সমলোচনা করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, শাজাহান খানের সব লাগে। তার এমপি হতে হয়, মন্ত্রী হতে হয়। তার স্ত্রীর মহিলা এমপি লাগে। ছোট ভাইয়ের উপজেলা চেয়ারম্যান। ওনার ছেলের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লাগে। ওনার পরিবারেই সব দরকার। আর কারো রাজনীতি করার দরকার নাই।
প্রসঙ্গত, মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর জন্মস্থান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা। তার বাবা ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং তার বড় ভাই নুর-ই-আলম চৌধুরী বর্তমানে মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ। নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলার অর্থাৎ ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।