আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়াতে উৎপাদন কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে তারা দিনে দশ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে।
ওপেক প্লাস গোষ্ঠীর বৈঠকে তেলের উৎপাদন কম করা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানে সৌদির নেতৃত্বে ১৩টি দেশ এবং রাশিয়ার নেতৃত্বে ১০টি দেশ আছে। তবে রাশিয়া আর নতুন করে তেলের উৎপাদন কম করতে চাইছে না।
ওপেক প্লাস দেশগুলি আগে যে উৎপাদন কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটাই চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। শুধু সৌদি আরব একতরফাভাবে তেলের উৎপাদন দিনে দশ লাখ ব্যারেল কম করবে বলে জানিয়েছে। মে মাসে তারা প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। জুলাই থেকে তারা ৯০ লাখ ব্যারেল করবে।
সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা নতুন করে যে উৎপাদন কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জারি থাকবে।
শক্তিমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলআজিজ বলেছেন, ‘আমরা সবসময় একটা সাসপেন্স তৈরি করতে চাই। আমরা চাই না, আমরা কী করব, তা মানুষ আগে থেকে অনুমান করে নিক।’
সৌদির দাবি, বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম কম হওয়ার ফলে তেল উৎপাদক দেশের ক্ষতি হচ্ছে। আর এখন তেলের দাম সমানে ওঠানামা করছে। তারা দামের স্থায়িত্ব চান। তারা চান, যাতে দাম বাড়ে।
সৌদির এই সিদ্ধান্তে তেলের দাম বাড়লে রাশিয়াও লাভবান হবে। কারণ, ভারত, চীন ও তুরস্ক এখন রাশিয়ার কাছ থেকে প্রচুর তেল কেনে। তাদেরও বাড়তি দামে তেল কিনতে হবে। (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।