Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home তোপের মুখে দুই মন্ত্রী
    জাতীয়

    তোপের মুখে দুই মন্ত্রী

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কApril 20, 2020Updated:April 20, 20208 Mins Read
    Advertisement

    দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দূরদর্শী পরিকল্পনা, আন্ত মন্ত্রণালয় ও আন্ত বিভাগীয় সমন্বয়, অধীনদের সঙ্গে যোগাযোগ, সমন্বয় ও তাঁদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। এমনকি শুরু থেকে কোনো কিছুর অভাব নেই, সব প্রস্তুতি আছে—কথায় কথায় এসব বলে বাস্তব পরিস্থিতি গোপন করেছেন। এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে।

    অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে দামের নৈরাজ্য, পেঁয়াজ কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বর্তমান সময়ে পোশাকশিল্প খাতের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন একদা সজ্জন ব্যবসায়ী নেতা বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও পছন্দে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েই অনেক সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অল্প কয়েক দিনেই তিনি নিজের মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক জন্ম দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার স্থানকে রীতিমতো নড়বড়ে করে তুলেছেন।

    স্বাস্থ্য খাতসহ সংশ্লিষ্ট মহলের কাছ থেকে আসা অভিযোগের মাত্রা দিন দিন বাড়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ও সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না এবং তিনি যে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন, সেটা সম্প্রতি তাঁর নিজের কথায়ই প্রকাশ পেয়েছে। তিনি নিজেই বলেছেন, অনেক প্রশ্নেরই তিনি জবাব দিতে পারছেন না। এমনকি করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও তিনি অনেক সিদ্ধান্তই জানতে পারেন না বা অন্যরা তাঁকে কিছু না জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা দিচ্ছেন। এর মানে, মন্ত্রী অন্যদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যরা কেউ তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ কারণে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু থেকেই বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলছে। ফলে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। নেতৃত্বদানকারী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে এর দায়দায়িত্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে বলে মনে করছে অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব অভিযোগ সম্পর্কে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সব সময়ই কোনো না কোনো গ্রুপ থাকে এমন অভিযোগ করার জন্য। কিন্তু আমি মনে করি, শতভাগ না হলেও আমি ও আমার মন্ত্রণালয় এই সময়ে যা করেছি তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে আমাদের দেশে যখন সংক্রমণ শুরু হয় প্রায় একই সময়ে আমেরিকা ও ফ্রান্সে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরা এই বিষয়টি বিবেচনায় নিলেই বুঝতে পারবেন আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এ পর্যন্ত আমরা তুলনামূলক পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সব দায় তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, আমি তো অন্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, সেটা আমার এখতিয়ারও নয়, অন্য মন্ত্রীকে আমি পরামর্শ দিতে পারি, যেটা আমি সব সময়ই দিচ্ছি। কিন্তু তাঁরাও তো তাঁদের কাজগুলো সামলাতে পারছেন না।’

    এ প্রসঙ্গে গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনের জানাজায় লাখ লাখ মানুষের ভিড় হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ব্যর্থতা কি আমার? এই যে মানুষজন ঘরে থাকছে না, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাচ্ছে—সে দায় কার? এসব ব্যাপারে আমরা কি নির্দেশনা-পরামর্শ দিইনি? নেতৃত্বের কথাই যদি বলা হয় তবে আমি তো বলব, সবাইকে নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে আমি ভালোভাবেই কাজ করছি। আমার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কিছু গ্রুপ ছাড়া বাকি সবাই ঠিকভাবেই কাজ করছে।’

    মন্ত্রী দাবি করেন, আগে দেশে ৩০০ আইসিইউ ছিল, তিনি আরো ৩০০ প্রস্তুত করেছেন। এক মাসের মধ্যে একটি থেকে ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও অনেক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ঢাকাসহ উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সব জায়গায় হাসপাতাল প্রস্তুত আছে। প্রথমে সংকট থাকলেও এখন আর পিপিইর কোনো সংকট নেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ১ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করে সরকার। জাতীয় কমিটির পর বিভাগীয় পর্যায়ে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এসব কমিটি ভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, মন্ত্রী বাস্তব চিত্র চাপা রেখে প্রতিদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, সব কিছু প্রস্তুত আছে, কোনো কিছুর অভাব নেই। তাঁদের কেউ কেউ মন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি বুঝতে চাননি। এ কারণে মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। যখন চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরণ (পিপিই) পাচ্ছিলেন না বা ব্যাপকভাবে সংগ্রহও করা যায়নি তখন মন্ত্রী বারবারই বলছিলেন পিপিইর অভাব নেই। যখন হাসপাতালের কিছুই প্রস্তুত ছিল না তখনো তিনি বলছেন সব প্রস্তুত।

    ওই কর্মকর্তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন তৈরি করেছেন। আর বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ শুরু থেকেই পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বললেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কারণে আইইডিসিআর তা করতে পারেনি। এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে আলোচনাও আছে।

    বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সব দেশেই পূর্বপ্রস্তুতির ঘাটতি ছিল। কিন্তু আমাদের দেশে বড় ঘাটতি হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সার্বিক সমন্বয় ও পরিকল্পনাগত নেতৃত্ব দিতে পারেননি। তিনি উপযুক্ত বিশেষজ্ঞদের বাছাই করে নিজে ধারণা নেওয়ার কাজটিও করতে পারেননি। আবার যাঁরা তাঁকে শুরু থেকে পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরাও সঠিকভাবে গাইড করতে পারেননি।’

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন উপাচার্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এমন মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে নিচের দিকে যে মাত্রায় চেইন অব কমান্ড বজায় রাখা দরকার ছিল, সেটি করতে পারছেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আবার অন্য মন্ত্রণালয়গুলোকেও তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। অন্য মন্ত্রণালয়গুলো থেকে যখন যে সহযোগিতা আদায় করে নেওয়া দরকার ছিল সেটাও করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে সামগ্রিকভাবে এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে।’

    সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর দফায় দফায় এ ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। প্রথম দফার ছুটির শেষ দুই দিন পোশাক শ্রমিকের কর্মস্থলমুখী ঢল নামে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ছাড়া গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত বিষয়েও সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে।

    এ ছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গণমাধ্যমগুলো ‘গুজব’ ছড়াচ্ছে কি না, তার তদারকি করতে আদেশ জারি করেছিল তথ্য মন্ত্রণালয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর সমালোচনার মুখে তা বাতিল করা হয়। আর প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে কভিড-১৯-এর পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা যায়। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ‘লকডাউন’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

    সিদ্ধান্তের ‘দুর্বলতায়’ সমালোচনার শীর্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী

    দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে এ মন্ত্রণালয়ের চলে নিত্য দেনদরবার। এই মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের সুযোগ-সুবিধা যেমন দিতে হয়, তেমনি অতি মুনাফার রাশও টানতে হয় দক্ষতার সঙ্গে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের প্রতি ছিলেন নমনীয়। জোরালো অবস্থান না নেওয়ায় শুরু থেকেই ব্যবসায়ীরা তাঁকে পেয়ে বসেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই চামড়া ব্যবসায়ীরা তাঁকে চেপে ধরেন। আর চামড়ার মতো সম্ভাবনাময় খাতটি বর্তমানে ধ্বংসের মুখে। গত কোরবানির ঈদে মানুষ চামড়ার ন্যায্য দাম পায়নি। আর সেই সময় থেকে চালসহ নিত্যপণ্যের অকারণে দাম বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি। বাজারে নজরদারি বাড়ানোসহ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, কারা সিন্ডিকেট করছে, কারা কারসাজির নেতৃত্ব দিচ্ছে—এসব নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে ঘটে গেছে গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরে পেঁয়াজ কেলেঙ্কারি। এই নিত্যপণ্য নিয়ে স্মরণকালের নৈরাজ্য সৃষ্টি হয় বাজারে। পেঁয়াজের বাজার চড়তে থাকার ওই সময়টাতেও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন অনেকটা নির্বিকার। বলতে থাকেন, পেঁয়াজের দাম বাড়বে না, আর ভারত রপ্তানি বন্ধ করলেও অন্য দেশ থেকে আমদানির প্রক্রিয়া চলছে ইত্যাদি। বিদেশে লম্বা সময় কাটিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী যখন দেশে ফিরেছিলেন তখন পেঁয়াজের দাম আকাশের চূড়ায়। অথচ বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে পেঁয়াজের সংকট হতে পারে, ভারতে উৎপাদন কম হয়েছে, বিকল্প দেশ কোনগুলো, সেখান থেকে আমদানি করা যায় কি না—এসব হোমওয়ার্ক বা প্রস্তুতি নেয়নি তাঁর মন্ত্রণালয়। ফলে কোনোভাবেই লাগাম টানা যায়নি পেঁয়াজের দামে। দীর্ঘদিন আড়াই শ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় পেঁয়াজ। ওই সময় মন্ত্রী বিদেশ থেকে আমদানির নানা পদক্ষেপের কথা গণমাধ্যমকে বললেও কাঙ্ক্ষিত হারে পেঁয়াজ আসেনি, ফলে দামও কমেনি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

    সব শেষে কয়েক দিন আগে বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে চলেছে লুকোচুরি। একপর্যায়ে সাপ-লুডু খেলার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পোশাক কারখানার সব শ্রমিককে মজুরি দিয়ে দিতে। অথচ মজুরি না দিয়েই কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। সহায়সম্বলহীন শ্রমিকরা দলে দলে করোনাঝুঁকি নিয়ে, অন্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ফিরে যায় গ্রামে। এরপর সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করলে আবারও করোনা মহামারির মধ্যে ভয়ংকর ঝুঁকি নিয়ে তাদের কারখানায় ফিরতে বলা হলো। হেঁটে, সীমাহীন কষ্ট করে শ্রমিকরা ফিরল। কিন্তু সকালে বলা হলো কারখানা বন্ধ, মজুরিও দেওয়া হয়নি। এ রকম আরো অনেক নাটকীয় ঘটনা। বিজিএমইএ একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। সরকারের ভাবমূর্তি, করোনার লকডাউন, জননিরাপত্তা কিছুই ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে এ সময়ও তিনি কার্যকর শক্তিশালী কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। সমালোচনা রয়েছে, মন্ত্রী নিজেই পোশাক কারখানার মালিক। ফলে পোশাক ব্যবসায়ীদের তিনি কিছু বলতে পারেন না। উল্টো তাঁদের কথামতো চলেন। এত নাটকীয়তা, এত বিশৃঙ্খলা, করোনাকালে মানুষের জীবনে ভাইরাস সংক্রমণের এত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে শুধু মন্ত্রীর নমনীয়তার কারণে।

    কনজুমার্স অ্যাসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব গোলাম রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স আরো জোরালো করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ না করায় বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। এই সমন্বয়ের কাজটি আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রত্যাশা করি। কিছু ব্যবসায়ী যাতে বাজারকে ম্যানিপুলেট করতে না পারেন এ জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

    বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পোশাক খাত ও নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখাই এ মন্ত্রণালয়ের কাজ। কিন্তু সংকটকালে এ মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ ছাড়া পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিয়ে বিজিএমইএ যখন বিভ্রান্তিমূলক ভূমিকা রাখছে, তখন কোনো সমন্বয় ছিল না।’

    বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. আবদুর রাজ্জাক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ফলে বাণিজ্যসহ অন্য মন্ত্রণালয়গুলোও জাতীর কঠিন সময়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়।’

    ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ী মহল। কালোবাজারি ও মজুদকারীদের কারণে বাজারে অস্থিরতা হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী যেহেতু নিজে একজন ব্যবসায়ী, তাঁর বাজারটা বোঝা উচিত। বাজার কিভাবে, কাদের দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় সেটা তাঁর জানার কথা। বাজার নিয়ন্ত্রণে তিনি তাঁর এই ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতাকে যদি সময়মতো কাজে লাগাতে পারতেন তবে হয়তো নিয়ন্ত্রণ করা যেত। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts

    বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার মার্শাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    July 8, 2025
    বিসিএস পরীক্ষা

    ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা : শুরু ২৪ জুলাই, পিএসসির ৪ জরুরি নির্দেশনা

    July 8, 2025

    সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

    July 8, 2025
    সর্বশেষ খবর

    ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মানবসম্পদ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার মার্শাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    ওয়েব সিরিজ

    নতুন ওয়েব সিরিজ ‘সেক্রেটারি’ দর্শকদের মন জয় করছে, একা দেখুন!

    Ducati Multistrada

    আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে সেরা ৯টি হাই-টেক অ্যাডভেঞ্চার বাইক!

    বিসিএস পরীক্ষা

    ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা : শুরু ২৪ জুলাই, পিএসসির ৪ জরুরি নির্দেশনা

    এডজাস্ট ফ্যান পরিষ্কার

    ঘরের এডজাস্ট ফ্যান পরিষ্কার করার সহজ উপায়

    সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হলো নতুন রোমান্টিক ওয়েব সিরিজ, সম্পর্কের জটিলতায় ভরপুর কাহিনি!

    ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা হজ্জ ও ওমরাহ সেভিংস স্কিম : সঞ্চয়ে স্বপ্নপূরণ

    Shaturia Thana

    সাটুরিয়া থানা ঘেরাওয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৪

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.