জুমবাংলা ডেস্ক : ঘরে অবস্থান করছি, খাবার নেই। কেউ সহযোগিতা করেনি। এভাবে জাতীয় হেল্প নম্বর ৩৩৩’ তে ফোনে করে খাদ্য সহায়তা চায় বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলার শংকরপুর গ্রামের ৩৫ বছরের এক যুবক। এ সময় তিনি দ্রুত খাবার দেওয়া না হলে ক্ষুধার জ্বালায় অঘটন ঘটে যাবারও ইঙ্গিত দেন।
এদিকে ৩৩৩ এর নির্দেশনা মোতাবেক খবরটি পেয়ে জরুরি ভিত্তিতে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির নিজে সোমবার বেলা ১১টায় সরকারি ত্রান নিয়ে তার বাড়িতে যান। তখন শোনা যায় অন্য রকম কথা। এলাকাবাসী জানায়, এই পরিবারটিও অস্বচ্ছল নয়। ফোন করা সেই যুবকের বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তার ভাই ইনকাম ট্যাক্সে চাকুরি করেন। সবাই এক সাথে একই পরিবারে থাকেন। এই পরিবারের এই মুহুর্তে কোনো সাহায্যেও প্রয়োজন নেই।
এদিকে খাদ্য সহায়তা চেয়ে ফোন করার কারণে ছেলের এমন কাজে বিব্রত বোধ করেন তার বাবা। তিনি নিজে ছেলের এই ধরনের কাজে দুঃখ প্রকাশ করে। এ সময় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র সরকার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেসার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মহীন মানুষ ঘরে অবস্থানের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি ফোনকলই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। এটি নিয়ে ইয়ার্কি করার কিছু নেই।
তিনি বলেন, সচ্ছল ব্যক্তিরা এভাবে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন না দিয়ে হয়রানি না করার জন্য অনুরোধ রইলো। একই সাথে সচ্ছল হয়েও অসচ্ছল পরিবারের ত্রাণ গ্রহণ না করতেও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।