আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নীতিকে সরকারিভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা ও কৃষ্ণাঙ্গদের স্বাধীনতা আন্দোলন নিষিদ্ধ করে নেলসন ম্যান্ডেলাকে কারাগার থেকে মুক্ত করা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডি ক্লার্ক ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৮৫ বছর বয়সে কেপটাউনে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ১৯৯৩ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
বৃহস্পতিবার ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৮৫ বছর বয়সে কেপটাউনে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৪২ বছরের শ্বেতাঙ্গ শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য মি. ডি ক্লার্কের অবদানকে কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না। সাবেক আরেক শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বিডব্লিউ বোথার কাছে থেকে ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডি ক্লার্ক। ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৯৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ নীতিকে সরকারিভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ডি ক্লার্ক। সেই সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের স্বাধীনতা আন্দোলন নিষিদ্ধ করে নেলসন ম্যান্ডেলাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন ডি ক্লার্ক। সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক মিছিলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য চার বছরের আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেন ডি ক্লার্ক। সাংবিধানিক পদ্ধতিতে দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ১৯৯৩ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন ডি ক্লার্ক।
১৯৯৪ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর নেলসন ম্যান্ডেলা প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডি ক্লার্ক নেলসন ম্যান্ডেলা সরকারের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।