আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দলীয় এমপিদের অনাস্থা ভোটের পরেও ক্ষমতায় টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে দলীয় নেতৃত্বে বহাল থাকেন তিনি। এ সুবাদে প্রধানমন্ত্রীর পদ হতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকেও এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন জনসন। খবর পার্সটুডে’র।
করোনার বিধিনিষেধ অমান্য করে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করার খবরে বিরোধীদলসহ নিজ দলের নেতাদের চাপের মুখে পড়েন জনসন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের ডাকে গতকাল অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জয়ের পর এ ভোটকে ‘সিদ্ধান্তমূলক’ আখ্যায়িত করেছেন জনসন। ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যকার ‘বিভাজন’ ফুটে উঠেছে বলে মনে করেন বিরোধী লেবার নেতা স্যার কির স্টারমার।
করোনা মহামারিতে জনসমাগম নিষিদ্ধ করার পর নিজেই জন্মদিনের অনুষ্ঠান করায় ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আইন অমান্য করায় ক্ষমতাসীন প্রথম কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জরিমানাও দেন তিনি। এ ঘটনায় বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যার ধারাবাহিকতায় জনসনকে দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরাতে অনাস্থা ভোটের ডাক দেন তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা।
গতকালের দলীয় অনাস্থা ভোটে জনসনের পক্ষে ভোট দেন দলের ২১১ জন এমপি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। অনাস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কনজারভেটিভ এমপি গ্রাহাম ব্র্যাডি।
অনাস্থা ভোটে জয় পেয়ে কনজারভেটিভ পার্টিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সামনে আরো অনেক কিছু করার বাকি জানিয়ে তিনি বলেন, ভেদাভেদ ভুলে সামনের দিকে যেতে হবে।
বরিস জনসন নিজের ও প্রধানমন্ত্রীর পদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন। তার বিরুদ্ধে বড় জয়ের আশা করলেও তা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন বিদ্রোহী কনজারভেটিভ এমপি রজার গেইল।
এদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির আনা অনাস্থা ভোট প্রসঙ্গে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা কির স্টারমার বলেন, এটি বরিস জনসনের বিপক্ষে তার দলের নেতাদের দাঁড়ানোর সাহস দেখানোর একটি সুযোগ ছিলো। তিনি অভিযোগ করেন, ব্রিটিশ জনগণ বরিস জনসনের দায়িত্বহীন আচরণে বিরক্ত। প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনোটাই রাখতে পারেন নি বলে অভিযোগ করেন লেবার নেতা স্টারমার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।