জুমবাংলা ডেস্ক : আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ১০ বছরের শিশুকন্যাটি বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের বেডে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শিশুটি। গর্ভের সন্তানসহ দুজনই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।
বুধবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন বাবা। আছেন দাদিও। শিশুটির বাবা জানেন না, কী হবে তাঁর শিশুকন্যাটির ভবিষ্যৎ। চিন্তায় কাতর তিনি। পাশে থাকা দাদি বলেন, ‘গর্ভের সন্তানের দায়িত্ব নেবে কে? আমরা তো নিতে পারব না। এ ঘটনার জন্য তো ও দায়ী নয়। ও তো নিজেই শিশু, আরেক শিশুর দায়িত্ব কিভাবে নেবে?’
শিশুটির বাবা জানান, তিনি গরিব মানুষ। দিনমজুর হিসেবে গাছ কাটার কাজ করেন। অভাবের কারণে কয়েক বছর আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর তার শিশু মেয়েটি তার সঙ্গে থাকতো। লেখাপড়া করাবেন বলে গত বছর শিশুটিকে তার নানা মণিরামপুরের ঘুঘুরাইল গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুটি গোলাম কিবরিয়ার বাড়িতে কাজ করত। মণিরামপুরের তাহেরপুর এলাকায় গোলাম কিবরিয়া ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটি তাকেও নানা বলে ডাকত। গত জানুয়ারি মাসে ফাঁকা বাড়িতে তিনি শিশুটির মুখে বালিশচাপা দিয়ে ধ’র্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও শিশুটিকে ধ’র্ষণ করেন গোলাম কিবরিয়া।
শিশুটি একপর্যায়ে বাবাকে জানায়, ওখানে আর সে থাকবে না। শেষে তাকে বাবার কাছে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু তখনো বাবা জানতে পারেননি, তার শিশুকন্যাটির কত বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে। তিন মাস আগে শিশুটির শরীর খারাপ করলে তাকে যশোরে একজন পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হয়। চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানান, শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর দেখা যায় সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সূত্র : কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।