স্পোর্টস ডেস্ক : ‘সেই ১৯৭৭ সালে প্রথম ইডেনে খেলতে এসেছিলাম। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে। তখন থেকে এই শহরটা আমাকে আপন করে নিয়েছিল। কিন্তু সৌরভ আসার পর কী হল জানেন? কলকাতায় আমি দুই নম্বরে চলে গেলাম! আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। দাদার পুরো উল্টো। একদিন হঠাৎ প্রায় মাঝরাতে দেখি দাদার ফোন। ধরতেই বলল, আচ্ছা, বাংলা টিমটার কী প্রবলেম হচ্ছে বল তো? আর কী করা যায়?’ আমার তখন ঘুমে চোখ জুড়ে যাচ্ছে। এই হল দাদা। মাঝরাতেও ক্রিকেট নিয়ে ভাবে!’
কথাগুলো বলছিলেন ভারতের সাবেক নন্দিত নিন্দিত অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। গতকাল শুক্রবার সৌরভ গাঙ্গুলীকে দেওয়া সিএবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন আজহার এবং ভিভিএস লক্ষণ। এবং তিনি। যাকে নিয়ে এত বক্তব্য সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এ সব শুনে মিটিমিটি হাসছিলেন। নিজেকে নিয়ে এত প্রশংসা শুনে সৌরভ যেন নিজেকে একটু গুটিয়েই রেখেছিলেন। একটু লজ্জা-লজ্জা ভাব ছিল তার মাঝে।
মাইক্রোফোন হাতে পেয়ে সৌরভ বলেন, ‘এই যে দুজন আমার পাশে দাঁড়িয়ে, একজনের নেতৃত্বে প্রথম দেশের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলাম। আজ্জু (আজহারউদ্দিন) ভাই। আর একজন (লক্ষণ), যে সব সময় আমার ক্যাপ্টেন্সিকে বাঁচিয়ে এসেছে। সেটা ইডেনের সেই ২০০১ এর টেস্ট হোক বা বিদেশে। ৮০ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেছে। ভিভিএস এসে সেঞ্চুরি করে খেলা ঘুরিয়ে দিল!’
ভারতের কিংবদন্তি টেস্ট খেলোয়াড় ভিভিএস লক্ষণ বলেন, ‘আমার কাছে সৌরভ ভেরি-ভেরি স্পেশ্যাল ক্যাপ্টেন। যে একগাদা তরুণ ক্রিকেটারকে নিরাপত্তা দিয়েছে। সৌরভ যখন সিএবি সচিব হয়ে ওর ছোট্ট ঘরটায় বসে ফাইল সাক্ষর করে যাচ্ছিল, দেখে মনে হয়েছিল, এই লোকটা এই সব করছে! আজ বুঝি, সব ইগো ফেলে আসতে পেরেছে বলেই সৌরভ আজ এই জায়গায়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।