Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার উপায়: সহজ টিপস
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার উপায়: সহজ টিপস

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 24, 20259 Mins Read
    Advertisement

    সন্ধ্যার নরম আলোয় বসে আছেন আপনজনের সাথে। হঠাৎ মনে পড়ল, সেই সদ্যদম্পতি বন্ধুটির কথাই ভাবছিলেন যিনি গতকাল ফোনে কেঁদে ফেলেছিলেন। “একটা সময় পর ভালোবাসা কোথায় মিলিয়ে যায়, জানেন?” – এই প্রশ্নের কষ্টটা বুঝি শহরের কত দম্পতির হৃদয়ে গাঁথা। বাস্তব জীবনের চাপ, দায়িত্বের বোঝা, আর দৈনন্দিন রুটিনের মাঝে দাম্পত্য জীবনের সুখ যেন কোথায় হারিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আশার কথা হলো, সুখী দাম্পত্য জীবন কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়। এটা গড়ে তোলার জন্য দরকার সচেতন প্রচেষ্টা, ছোট ছোট অঙ্গীকার, আর কিছু সহজ উপায়ের নিয়মিত চর্চা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, সুস্থ পারিবারিক ও দাম্পত্য সম্পর্ক ব্যক্তির সামগ্রিক সুস্থতা ও দীর্ঘায়ুর জন্য অপরিহার্য। চলুন, জেনে নিই সেই গোপন মন্ত্রগুলো।

    দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার উপায়

    দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি: সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার মূল স্তম্ভ

    প্রকৃত শোনার শিল্প: আমরা প্রায়শই শুনি, কিন্তু মনোযোগ দিয়ে শুনি না। আপনার সঙ্গী যখন কিছু বলছেন, তখন ফোন সরিয়ে রাখুন, চোখে চোখ রাখুন, মন দিয়ে শুনুন। শুধু কথাগুলোই নয়, অনুভূতিগুলোকেও শুনতে শিখুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ বলছেন, “দাম্পত্য জীবনে সুখ ধরে রাখতে ‘অ্যাক্টিভ লিসেনিং’ সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। এর মানে হলো সঙ্গীর কথা বলার সময় তাকে বিচার না করা, বাধা না দেওয়া, শুধু তার অনুভূতি ও চিন্তাকে স্বীকৃতি দেওয়া।” ছোট্ট উদাহরণ: আপনার স্ত্রী অফিসের জটিলতা বলছেন। আপনি বলতে পারেন, “বুঝতে পারছি, তোমার জন্য সেটা কতটা কষ্টকর ও হতাশাজনক হচ্ছে,” – এটাই স্বীকৃতি। শুধু সমাধান চাপিয়ে দেওয়া নয়।

    কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস: আমরা সহজেই সঙ্গীর করা ছোটখাটো কাজগুলোকে স্বাভাবিক মনে করে নিই। কিন্তু দিন শেষে এক কাপ চা বানিয়ে দেওয়া, বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসা, বা বাড়ি গুছিয়ে রাখা – এসবই তো ভালোবাসার প্রকাশ। প্রতিদিন অন্তত একবার সত্যিকারের মন থেকে ‘ধন্যবাদ’ বলুন। বলুন, “আজ তুমি রান্না করলে, সত্যিই খুব ভালো লেগেছে,” বা “তুমি বাচ্চার হোমওয়ার্কে সাহায্য করায় আমার অনেক কাজ সহজ হয়ে গেল।” গবেষণা বলছে, নিয়মিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দম্পতিদের মধ্যে সন্তুষ্টির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায়।

    ব্যক্তিগত সময় (আলাদা) এবং একসাথে সময় (কোয়ালিটি টাইম): দুজন মানুষ হিসাবে আপনার নিজস্ব আগ্রহ, বন্ধুবান্ধব, এবং ‘মি-টাইম’ থাকা জরুরি। একই সাথে, দম্পতি হিসাবে শুধু দুজনের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে অন্তত একবার ‘ডেট নাইট’ রাখুন। সিনেমা দেখা, পার্কে হাঁটা, বা ঘরেই মোমবাতি জ্বেলে প্রিয় গান শোনা – যেকোনো কিছু হতে পারে। লক্ষ্য হলো রুটিন থেকে বেরিয়ে একে অপরের সাথে পুনঃসংযোগ স্থাপন। বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে যৌথ পরিবারের চাপে এই ‘দুজনের সময়’ খুঁজে পাওয়া কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। সকালে একসাথে ১৫ মিনিট চা খাওয়া বা রাতে শোবার আগে ১০ মিনিট গল্প করাও কাজে দেবে।

    দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাদুকরী কৌশল

    ঝগড়া নয়, সমাধান-কেন্দ্রিক আলোচনা: বিবাদ দাম্পত্য জীবনের স্বাভাবিক অংশ। কিন্তু ঝগড়া করতে গিয়ে আমরা প্রায়শই ব্যক্তিগত আক্রমণ, পুরনো অভিযোগ টেনে আনি, যা সম্পর্কে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। পরিবর্তে শিখুন ‘আমি’ বাক্য ব্যবহার করতে। “তুমি কখনোই সময় দাও না!” এর বদলে বলুন, “আমি একা সময় কাটাতে ক্লান্ত বোধ করি, আমার মনে হয় আমরা একসাথে কিছু সময় কাটালে আমার ভালো লাগবে।” এটি অভিযোগের বদলে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করে এবং সমাধানের পথ খোলে। ঢাকার সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সেলর সায়মা হকের পরামর্শ, “ঝগড়ার সময় ২০ মিনিটের ‘টাইম-আউট’ নিন। শান্ত হয়ে তারপর কথা বলুন। লক্ষ্য রাখুন, জিত-হার নয়, বোঝাপড়াই আসল লক্ষ্য।”

    সঙ্গীর ভালোলাগা-মন্দলাগা বুঝুন ও সম্মান করুন: বছরের পর বছর একসাথে থাকার পরও আমরা অনেকেই সঙ্গীর বর্তমান পছন্দ-অপছন্দ, স্বপ্ন বা ভয়গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নই। সময়ের সাথে মানুষের রুচি, চিন্তাভাবনা বদলায়। খোলামেলা কথা বলুন। জিজ্ঞাসা করুন, “এখন তোমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী?”, “কোন কোন জিনিস তোমাকে বেশি উদ্বিগ্ন করে?”, “এখন কি এমন কিছু আছে যা তুমি চেষ্টা করতে চাও?”। তার উত্তরগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং সেগুলোকে গুরুত্ব দিন, আপনার পছন্দের সাথে মিলুক বা না মিলুক।

    যৌথ লক্ষ্য নির্ধারণ ও ছোট ছোট জয়ের উদযাপন: দাম্পত্য জীবন শুধু দিন কাটানোর নাম নয়। একসাথে ভবিষ্যৎ গড়ার নাম। পরিবারের জন্য কি চান? আগামী ৫ বছরে নিজেদের কোথায় দেখতে চান? সন্তান শিক্ষা, বাড়ি কেনা, ভ্রমণ, বা ব্যক্তিগত উন্নয়ন – এসব নিয়ে আলোচনা করুন এবং ছোট ছোট পদক্ষেপ ঠিক করুন। একটি যৌথ সঞ্চয় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। একটি ছোট লক্ষ্য পূরণ হলেই তা উদযাপন করুন – হয়তো বাইরে খেতে যাওয়া বা একটি ছোট উপহার দেওয়া। এই যৌথ যাত্রা ও সাফল্য সম্পর্ককে দৃঢ় করে।

    দৈনন্দিন জীবনে সুখের ছোট ছোট রুটিন

    সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে ওঠে বড় বড় ঘটনার চেয়ে দৈনন্দিন ছোট ছোট মুহূর্তের সমষ্টিতে:

    • সকালের একটি ইতিবাচক কথা: দিনের শুরু করুন একটি হাসি, একটি আদর, বা একটি উৎসাহব্যঞ্জক কথা দিয়ে। “সুপ্রভাত, তোমার দিনটি ভালো যাক,” বা শুধুই একটু হাসি।
    • ফোনে একটি বার্তা: দিনের বেলায় একটি ছোট্ট মেসেজ (“ভালো আছো তো?”, “তোমার কথা ভাবছি,” “সন্ধ্যায় দেখা হবে!”) ভালোবাসার অনুভূতি জাগিয়ে রাখে।
    • শারীরিক স্পর্শের শক্তি: হাত ধরা, পিঠে হাত বুলিয়ে দেওয়া, কপালে চুমু খাওয়া – এই ছোট ছোট শারীরিক স্পর্শ অক্সিটোসিন (“ভালোবাসার হরমোন”) নিঃসরণ বাড়ায়, যা সম্পর্কে নিবিড়তা ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে।
    • সাথে খাওয়া: সম্ভব হলে অন্তত এক বেলা (সাধারণত রাতের খাবার) একসাথে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে খান। টিভি বা ফোন ছাড়াই। এটি সংযোগের মূল্যবান সময়।
    • সাথে হাসুন: মজার মুভি দেখা, একসাথে বাচ্চার সাথে খেলা, বা পুরনো স্মৃতিচারণ করে হাসুন। একসাথে হাসি সম্পর্কে আনন্দের অনুভূতি বাড়ায়।

    বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে বিশেষ বিবেচ্য বিষয়

    বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা ও সংস্কৃতিতে দাম্পত্য জীবন কিছু অনন্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আসে:

    • যৌথ পরিবারের ভারসাম্য: বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাই-বোনের সাথে এক ছাদের নিচে বসবাস দাম্পত্য জীবনে অতিরিক্ত চাপ ও হস্তক্ষেপের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে:

      • সীমারেখা নির্ধারণ: সম্মান রেখে স্পষ্টভাবে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ও দম্পতির সময়ের গুরুত্ব বোঝানো।
      • সঙ্গীর পক্ষে দাঁড়ানো: পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে একে অপরের পক্ষে দাঁড়ানো। সমালোচনা শুনে নেওয়া যায়, কিন্তু সঙ্গীকে একা রেখে সমালোচনায় যোগ না দেওয়া।
      • সঙ্গীর পরিবারের সাথে সময়: শুধু নিজের বাবা-মায়ের সাথে নয়, সঙ্গীর বাবা-মায়ের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ ও সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) এর বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যৌথ পরিবারে সীমারেখা ও দম্পতির স্বাধীনতার প্রশ্নটি দাম্পত্য অশান্তির একটি বড় কারণ।
    • আর্থিক চাপ মোকাবেলা: জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, সন্তানের শিক্ষা, চাকরির অনিশ্চয়তা – আর্থিক চাপ দম্পতিদের মধ্যে উত্তেজনার বড় কারণ।

      • খোলামেলা আলোচনা: আয়-ব্যয়, ঋণ, সঞ্চয় ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা ও নিয়মিত আলোচনা করুন। লুকোচুরি করবেন না।
      • যৌথ বাজেট: মাসিক আয় অনুযায়ী বাজেট তৈরি করুন। দুজনেই এর অংশীদার হোন। প্রয়োজনে একজন প্রধান দায়িত্ব নিতে পারেন, কিন্তু সিদ্ধান্ত হবে যৌথ।
      • সমঝোতা: আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকলে, কোন খরচ অগ্রাধিকার পাবে তা নিয়ে সমঝোতায় আসুন। অপ্রয়োজনীয় দায়িত্ব বা সামাজিক চাপে পড়ে আর্থিক চাপ বাড়াবেন না।
    • সামাজিক চাপ ও গসিপ: আমাদের সমাজে অন্যের দাম্পত্য জীবন নিয়ে মন্তব্য, তুলনা বা গসিপ খুব সাধারণ ঘটনা। এগুলো সম্পর্কে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
      • অবজ্ঞা করার ক্ষমতা: অন্যের মন্তব্যকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়া শিখুন। আপনার সম্পর্ক শুধু আপনাদের দুজনের।
      • একসাথে সিদ্ধান্ত: সামাজিক অনুষ্ঠান, দাওয়াত বা পারিবারিক চাপে কী করবেন, তা আগে থেকেই একসাথে ঠিক করুন।
      • গসিপ এড়িয়ে চলা: নিজে অন্যের সম্পর্ক নিয়ে অহেতুক মন্তব্য বা গসিপে অংশ নেবেন না। এটি নেতিবাচক শক্তি ছড়ায়।

    কখন পেশাদার সাহায্য নেবেন?

    সব দম্পতিরই মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। কিন্তু কিছু লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে পেশাদার কাউন্সেলিং বা থেরাপির প্রয়োজন:

    • বারবার একই বিষয়ে তীব্র ঝগড়া, যা কোনো সমাধানে পৌঁছায় না।
    • একে অপরের সাথে কথা বলা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া।
    • বিশ্বাস ভেঙে যাওয়া (বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা বলা)।
    • শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন।
    • দীর্ঘদিন ধরে একসাথে থাকার অনুভূতি না থাকা, বিচ্ছিন্নতা।
    • সন্তানদের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়া।

    বাংলাদেশে এখন বেশ কিছু মানসম্মত কাউন্সেলিং সেন্টার ও মনোবিদ আছেন যারা দম্পতিদের সাহায্য করেন। যেমন: জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বা প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো। সাহায্য চাওয়া দুর্বলতার লক্ষণ নয়, বরং সম্পর্ককে বাঁচানোর দৃঢ় সিদ্ধান্ত।

    দাম্পত্য জীবন এক যৌথ যাত্রা, প্রতিদিনের ছোট ছোট পছন্দের সমষ্টি। ‘সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্ক’ গড়ে তোলার মন্ত্র লুকিয়ে আছে ভালোবাসাকে স্বার্থকতা দেওয়ার দৃঢ় ইচ্ছায়, একে অপরকে মনোযোগ দিয়ে শোনার ধৈর্য্যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সহজ অভ্যাসে, এবং দৈনন্দিন জীবনের চাপেও একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের রঙে রাঙানো এই সম্পর্কে যৌথ পরিবার, আর্থিক চাপ বা সামাজিক প্রত্যাশা যেন বোঝা না হয়ে যায়, সেদিকে সচেতন দৃষ্টি রাখুন। মনে রাখবেন, ঝড়-ঝঞ্ঝা আসবেই। কিন্তু যে নৌকার মাল্লারা একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে রাখে, সহনশীলতার পাল তুলে দেয়, এবং একই দিকে তাকিয়ে থাকে, সেই নৌকাই তরঙ্গ ভেঙে নিরাপদে পাড়ি জমায়। আজই আপনার সঙ্গীর দিকে তাকান। একটি искреннее ধন্যবাদ দিন, একটি হাসি দিন, বা শুধুই বলুন, “তোমার পাশে থাকতে পেরে আমি ভাগ্যবান।” এই ছোট্ট পদক্ষেপই হতে পারে আপনার দাম্পত্য জীবনে সুখের পরবর্তী অধ্যায়ের সুচনা। শুরু করুন আজ থেকেই।

    জেনে রাখুন (FAQs)

    ১. দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় কোনটি?
    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো সক্রিয়ভাবে শোনা (Active Listening) এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। মনোযোগ দিয়ে সঙ্গীর কথা ও অনুভূতি শোনা তাকে মূল্যবান বোধ করায়। আর প্রতিদিন ছোট ছোট বিষয়ে ‘ধন্যবাদ’ বলা বা প্রশংসা করা সম্পর্কে ইতিবাচক আবহ তৈরি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে দাম্পত্য জীবনের সুখ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলো ছোট অভ্যাস, কিন্তু বিশাল প্রভাব ফেলে।

    ২. আমরা প্রায়ই ঝগড়া করি, এটা কি স্বাভাবিক? কীভাবে ঝগড়া নিয়ন্ত্রণ করব?
    ঝগড়া করা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং সুস্থ সম্পর্কেরও অংশ। সমস্যা হয় যখন ঝগড়া ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রণের উপায়:

    • “আমি” বাক্য ব্যবহার করুন: অভিযোগের বদলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন (যেমন, “আমি কষ্ট পাই যখন…” )।
    • টাইম-আউট নিন: উত্তেজনা বেড়ে গেলে শান্ত হওয়ার জন্য ১৫-২০ মিনিট সময় নিন।
    • ব্যক্তিগত আক্রমণ বা পুরনো কথা টানবেন না: বর্তমান সমস্যায় মনোযোগ দিন।
    • ক্ষমা চাইতে শিখুন এবং ক্ষমা করতে শিখুন।

    ৩. বাংলাদেশে যৌথ পরিবারে দাম্পত্য সুখের জন্য বিশেষ কী করণীয়?
    যৌথ পরিবারে সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রাখতে:

    • স্পষ্ট সীমারেখা নির্ধারণ করুন: ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ও দম্পতির সময়ের গুরুত্ব পরিবারকে বোঝান।
    • সঙ্গীর পক্ষে দাঁড়ান: পরিবারের অন্য সদস্যদের সমালোচনার মুখে সঙ্গীকে একা রেখে দেবেন না।
    • সঙ্গীর পরিবারের সাথে সময় কাটান: শ্বশুরবাড়ির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।
    • দুজনের জন্য ব্যক্তিগত সময় বের করুন: সকালের চা বা রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ শুধু দুজনের জন্য রাখুন।

    ৪. আর্থিক সমস্যা দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলছে, কী করব?
    আর্থিক চাপ মোকাবেলায়:

    • খোলামেলা আলোচনা: আয়, ব্যয়, ঋণ ও সঞ্চয় নিয়ে সৎ ও নিয়মিত কথা বলুন। লুকাবেন না।
    • যৌথ বাজেট তৈরি: মাসিক বাজেট বানান দুজনে মিলে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খরচ করুন।
    • সমঝোতা: সীমিত আয়ে কোন চাহিদা জরুরি, কোনটা পেছনে ফেলা যায়, তা নিয়ে সমঝোতায় আসুন।
    • সামাজিক চাপ উপেক্ষা: অন্যের দেখাদেখি অপ্রয়োজনীয় খরচ করে চাপ বাড়াবেন না।

    ৫. দাম্পত্য জীবনে একঘেয়েমি দূর করার উপায় কী?
    একঘেয়েমি দূর করতে:

    • নতুন কিছু করুন: একসাথে নতুন রেস্তোরাঁয় খান, কোথাও ঘুরতে যান, নতুন শখ (যেমন: গান শেখা, রান্না শেখা) শুরু করুন।
    • “ডেট নাইট” বাধ্যতামূলক করুন: সপ্তাহে বা মাসে অন্তত একবার শুধু দুজনের জন্য বিশেষ সময় রাখুন।
    • সারপ্রাইজ দিন: ছোটখাটো উপহার, পছন্দের খাবার বানানো, বা ভালোবাসার নোট লিখে রাখুন।
    • ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলুন: একসাথে কী কী করতে চান, কোথায় যেতে চান – এসব নিয়ে আলোচনা করুন।

    ৬. কখন বুঝব আমাদের দম্পতি কাউন্সেলিং দরকার?
    পেশাদার সাহায্য নেওয়ার সময়:

    • একই সমস্যা বারবার ঝগড়ার কারণ হচ্ছে এবং সমাধান হচ্ছে না।
    • একে অপরের সাথে কথা বলা বা ভাব বিনিময় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
    • বিশ্বাস ভেঙে গেছে (বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা)।
    • শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন হচ্ছে।
    • দীর্ঘদিন ধরে একসাথে থাকলেও বিচ্ছিন্ন বা অসুখী বোধ করছেন।
    • সন্তানদের উপর সম্পর্কের টানাপড়েনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    উপায়, জীবনে টিপস থাকার দাম্পত্য দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার উপায় লাইফস্টাইল সহজ সুখী
    Related Posts
    মোটিভেশনাল কোটস

    মোটিভেশনাল কোটস যা জীবন বদলায়: সাফল্যের পথে চলুন

    July 26, 2025
    period-pain

    এই ৭ অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা

    July 25, 2025
    tomato

    টমেটো নেই? চিন্তা নেই—এই তিনটি জিনিসেই অটুট থাকবে খাবারের স্বাদ!

    July 25, 2025
    সর্বশেষ খবর
    টিকটক ভিডিও

    ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে টিকটক ভিডিও: ১২ তরুণ আটক

    অটোইমিউন ডিজিজ ম্যানেজমেন্ট

    অটোইমিউন ডিজিজ ম্যানেজমেন্ট: জীবনযাপনের কৌশল ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি

    ভারত

    যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ প্রথমে পাকিস্তানই নিয়েছিল : ভারত

    মোটিভেশনাল কোটস

    মোটিভেশনাল কোটস যা জীবন বদলায়: সাফল্যের পথে চলুন

    Dell XPS 14 Plus

    Dell XPS 14 Plus বাংলাদেশে দাম ও স্পেসিফিকেশন: প্রিমিয়াম পারফরম্যান্সের দাম কত?

    নাহিদ

    ‘বিচার, সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি’

    Samsung Galaxy Tab S10

    Samsung Galaxy Tab S10: বাংলাদেশ ও ভারতে দাম, স্পেসিফিকেশন এবং কেন এটি সেরা ট্যাবলেট

    Sony WH-1000XM6

    Sony WH-1000XM6 বাংলাদেশে ও ভারতে দাম, স্পেসিফিকেশনসহ বিস্তারিত গাইড

    শাবনূর

    নিজের ভুয়া ভেরিফায়েড আইডি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন শাবনূর

    অল্টম্যান

    ভবিষ্যতে এআইয়ের প্রভাবে কিছু পেশা একেবারেই বিলুপ্ত হতে পারে: অল্টম্যান

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.