নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও রসুনের। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে বাজারে কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলল। মাসখানেক আগে এসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সময় অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছিল। এখন অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। আর দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ-রসুনের। বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ বেশ ভালো।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও এবং মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা বাজারে রসুনের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এক সপ্তাহ আগেও আমদানি করা বড় রসুনের দাম ছিল পাইকারিতে প্রতি কেজি ১৬০-১৭০ টাকা। গতকাল পাইকারিতে এই রসুনের বাজারদর ছিল প্রতি কেজি ১২০-১২৫ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা। খুচরা বাজারে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়। বাজেটের আগে যা ছিল ১৮০-১৯০ টাকার ছিল। দেশি রসুন পাইকারি ও খুচরায় মিলছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, আমদানি করা রসুনের দাম ৪০-৫০ টাকা কমেছে। সেই হিসাবে অবশ্য দেশি রসুনের দাম কমেনি।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের হিসাবে, রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। সংস্থাটির হিসাবে, বাজারে আমদানি করা রসুনের দাম ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।
খুব বেশি না কমলেও গত এক সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। দাম কমেছে পাঁচ থেকে সাত টাকা। গতকাল পাইকারি বাজার দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৩২ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়।
মগবাজারের ভাই ভাই স্টোরের আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৩৫-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা নেই। বিদেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি, তাই বিক্রি করছি না।’
সরকার ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করে। ওই দিন বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৭ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫ টাকা। গত কয়েক দিনে আলুর দাম পাইকারিতে দুই টাকা বেড়েছে। তবে খুচরা বাজারে এখনো এর প্রভাব পড়েনি। কারণ, দুই সপ্তাহ আগে আলুর দাম একদফায় কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছিল। এদিকে দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি হালি ডিম ক্রেতাদের ৪৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। এখন খুচরা বাজারে ডিমের হালি ৫ টাকা কমে ৪০ টাকা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকায়। মগবাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬০ টাকা। তবে মগবাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকায় বিক্রি হলেও কারওয়ান বাজারে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রুই মাছের দাম আকারভেদে ২৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে বড় পরিবর্তন আসেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।