জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সাত জনকে। তাদের হেফাজতে পাওয়া গেছে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। রবিবার রাতে ইলমদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের সদস্যরা জানিয়েছে তাদের বিভিন্ন কলা কৌশল ও পলাতক ১১ সহযোগীর পরিচয়। অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগীদের গ্রেপ্তারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, হাইজাদী ইউনিয়নের আড়াইহাজার-ইলমদী সড়কে রবিবার রাতে ডাকাত দলটি অবস্থান করছিল। পুলিশের একাধিক টিম এলাকাটি ঘিরে ধরে। এরপর ইলমদী বেনজীর আহাম্মদের বাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৭ ডাকাতকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার করা ডাকাতদের মধ্যে রয়েছে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের ফারুক মেম্বারের ছেলে আহাদ আলী (৪৫), ইলমদী গ্রামের সোবহানের ছেলে সুমন (২২),আহাম্মদ আলীর ছেলে ইসমাইল (১৯), দুদু মিয়ার ছেলে দেলোয়ার (৩৮),নারান্দী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে বিল্লাল (৪০),মান্নানের ছেলে ইব্রাহীম (১৪) ও নারান্দী খালপাড় গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে আমিনুল (১৯)।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পালিয়ে যাওয়া ১১ ডাকাতের নাম প্রকাশ করেছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় ডাকাতদলের সদস্যদের কাছে পাওয়া গেছে ১টি রাম দা, ২টি বড় ছোড়া, ১টি ছেনা, ১টি লোহার পাইপ, ৩টি ক্রিকেটের স্ট্যাম্প, ১টি হকিষ্টিক ও ১টি কাঠের বাট। ডাকাতি কাজে ব্যবহার করা অন্য আগ্নেয়াস্ত্র তারা লুকিয়ে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ডাকাত দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে আহাদ আলী। ডাকাতি মামলায় ২২ বছর জেল খাটা আহাদ এক মাস আগে বাড়ি ফিরেছে। এরপর স্থানীয় ডাকাতদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে তুলেছে। তাদের টার্গেটে থাকে আড়াইহাজার–উচিৎপুরা সড়কে রাতে চলাচল করা যানবাহন ও পথচারী। ডাকাতদলের সদস্যরা নানা কৌশলে যানবাহন থামিয়ে মালামাল লুটে নেয়। রাস্তায় ডাকাতি করতে তাদের বিশেষ সিগন্যাল রয়েছে। দলের সদস্য দেলোয়ার বাঁশি বাজিয়ে লুকিয়ে থাকা সদস্যদের তথ্য জানায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যানবাহন দেখে সে একবার হুইসেল দিলে বুঝতে হবে যাত্রিবাহী রিক্সা বা অটোরিক্সা। দুইবার হুইসেলে প্রাইভেটকার। আর তিনবার হুইসেল দিলে ডাকাতদলের সদস্যরা বুঝে নয় পুলিশের গাড়ি আসছে। গাড়িতে ইট ছুড়ে অথবা সড়কে কিছু রেখে তারা নিরিবিলি স্থানে যানবাহন থামাতে বাধ্য করে। এরপর দ্রুত মালামাল লুট করে যাত্রীদের। দিনমজুরের মতো চলাচল করা ডাকাতরা দ্রুতই একত্রিত হয় এবং ডাকাতি শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে যায় সন্দেহ এড়াতে। কিশোর ডাকাত ইব্রাহীম গোপন স্থান থেকে অস্ত্র এনে অন্য ডাকাতদের হাতে তুলে দেয়। নিজ এলাকার বাইরে এ চক্র কতোটি ডাকাতি করেছে,তাদের দলের অন্য সদস্যরা কারা তা জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।