মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডে অফিসের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ক্যামেরাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলার ও অনান্য নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, ভৈরবে মঙ্গলবার মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য ট্রাস্কফোর্সের বিশেষ বাহিনী। এদিন ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক করে মাদক ও মাদক বিক্রির লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক ১০ মাদক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার পর গভীর রাতে সার্কেল অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান ও ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসাসহ ১০ জন মাদক কর্মকর্তা ও ৫০ জন পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
ভৈরব মাদক অফিসের পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের পর রাত ১০টায় অফিসের লোকজনসহ আমরা অফিসটি তালাবন্ধ করে চলে যাই। জনবল কম থাকায় এবং নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় রাতে অফিসে কেউ থাকে না।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত দেড়টায় মোবাইলে অফিসে আগুন লাগার খবর পাই। দুর্বৃত্তরা অফিসের গেট ও রুমের তালা ভেঙ্গে অফিসে প্রবেশ করে। তারা অফিসের ফাইল কেবিনেট, টেবিলের ড্রয়ার ও স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে তছনছ করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা অফিসে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। আগুনে অফিসের মালামালসহ প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মাসুদর রহমান বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদক ব্যবসায়ীর লোকজন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কী কারণে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
