আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা রোগীদের সঙ্গে ‘পশুর চেয়েও খারাপ’ আচরণ করা হচ্ছে বলে দিল্লি সরকারকে তিরস্কার করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি যেভাবে দেশের রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষ আদালত। খবর এনডিটিভির।
“কোভিড- ১৯ রোগীদের সঙ্গে পশুর থেকেও খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি ক্ষেত্রে তো, একজন করোনা (Coronavirus) রোগীর দেহ আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পাওয়া গেছে। একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছে কিন্তু কেউই তাঁদের সামান্যতম সাহায্য করার জন্যে নেই”, শুক্রবার এমন কথাই বলেছে আদালত। পাশাপাশি দিল্লিতে কেন এত কম সংখ্যক করোনা টেস্ট হচ্ছে সে বিষয়েও অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
“যখন চেন্নাই এবং মুম্বই করোনা টেস্টের সংখ্যা দৈনিক ১৬,০০০ থেকে বাড়িয়ে ১৭,০০০ করা হচ্ছে তখন কেন আপনার রাজ্যে এই পরীক্ষা দিনে ৭,০০০ থেকে ৫,০০০ এ নেমে গেছে?” দিল্লি সরকারকে প্রশ্ন করে সর্বোচ্চ আদালত।
মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর পরেই করোনা সংক্রমণের হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত ৩৪,৬৮৭ জন রোগী রয়েছে এবং ১,০৮৫ জন মারা গেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আশঙ্কা করছেন যে দিল্লিতে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫.৫ লক্ষে পৌঁছে যাবে। তবে এই মহামারী মোকাবিলায় সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তাঁর সরকার, এমন দাবিও করেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আপ সরকারকে এই মহামারী নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ ঠিকভাবে অনুসরণ না করার বিষয়টিও তুলে ধরে তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা বলেন: “দিল্লির পরিস্থিতি শোচনীয়, ভয়ঙ্কর এবং উদ্বেগের। সেখানকার হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতিও অত্যন্ত খারাপ, এমনকী মৃতদেহগুলোকেও ঠিকভাবে রাখা হচ্ছে না। রোগীদের পরিবারকেও মৃত্যুর খবর ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো পরিবারও শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেনি”।
“এদিকে হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক বেড থাকা সত্ত্বেও ভর্তি হওয়ার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীদের ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে যে, দিল্লির সরকারি হাসপাতালের বারান্দা এবং প্রতীক্ষালয়ের মধ্য়েও লাশ পড়ে রয়েছে। অথচ ওয়ার্ডের ভিতরে বেশিরভাগ বেডই ফাঁকা রয়েছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।