জুমবাংলা ডেস্ক : নয়াদিল্লির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। ভারতের রাজধানীতে দ্বিতীয় সেরোলজিকাল সার্ভে কিংবা সেরো সার্ভে প্রকাশের পর এই তথ্য জানা গিয়েছে।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন বলেছেন, ‘দ্বিতীয় সেরো সার্ভেতে ২৯.১ শতাংশ মানুষকে এই ভাইরাস প্রতিরোধী হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে।’ এর মানে, দিল্লির ৫৮ লাখ মানুষের শরীরে এখন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলোতে- ৩৩.২ শতাংশ। আগের সমীক্ষায় যা ছিল ২২.১২ শতাংশ। অবশ্য নয়াদিল্লির এলাকায় এই সংখ্যা বেশ কম, ২৪.৬ শতাংশ।
সত্যেন্দরের মতে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তারা অন্তত ছয় থেকে আট মাস সুরক্ষিত থাকবেন। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিজ্ঞানীরা বলেন, জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে ভাইরাস অ্যান্টিবডি পাওয়া গেলে হার্ড ইমিউনিটি শুরু হবে।’
গত মাসে দিল্লি সরকার প্রত্যেক মাসের প্রথম সপ্তাহে সেরো সার্ভে করার ঘোষণা দেয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী জুলাইয়ে প্রথম সমীক্ষা হয়, যেখানে দিল্লির মোট জনসংখ্যার ২৩.৪৮ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি মিলেছিল। আরও দুটি সমীক্ষা হবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।
অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য সেরে ওঠা রোগীদের কাছ থেকে রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। এমনকি যাদের কোনও উপসর্গ ছিল না এবং করোনা হওয়ার পর নিজেরাই সেরে উঠেছেন তাদেরও অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। সর্বশেষ সমীক্ষায় ১১ জেলা থেকে ১৫ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।