আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ ৩০ বছর হিমায়িত থাকা মানব ভ্রূণ থেকে জন্ম নিয়েছে দুই যমজ শিশু। তাদের নাম লিডিয়া ও টিমোথি। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ভ্রূণটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশান সেন্টারে’ সংরক্ষিত ছিল।
ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশান সেন্টার জানিয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর লিডিয়া ও টিমোথির জন্ম হয়েছে। এদের জন্ম দিয়েছেন ফিলিপ ও র্যাচেল দম্পতি। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় হিমায়িত থাকা ভ্রূণ। এর আগে রেকর্ডটি ছিল মলি গিবসনের ঝুলিতে। ২৭ বছর হিমায়িত থাকা একটি ভ্রূণ থেকে ২০২০ সালে জন্ম নিয়েছে মলি। তারও আগে মলির বোন এমার জন্ম হয়েছে ২৪ বছর ধরে হিমায়িত থাকা একটি ভ্রূণ থেকে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশান সেন্টারে যে কোনো পুরুষ বা নারী তাঁদের ভ্রূণ সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। ভবিষ্যতে কোনো দম্পতি চাইলেই সেখান থেকে ভ্রূণের মান, বয়স ও ভ্রূণদাতা সম্পর্কে জেনে ভ্রূণ নিতে পারেন। এ জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হয় না।
ফিলিপ এবং র্যাচেলের ইচ্ছা ছিল, ওই রকম হিমায়িত একটি ভ্রূণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া। যদিও তাদের ঘরে আগে থেকেই চারটি সন্তান রয়েছে। একজনের বয়স ৮, একজনের ৬, আরেকজনের ৩ এবং সবচেয়ে ছোটটির বয়স ২। এদের কেউই অবশ্য দাতাদের কাছ থেকে নেওয়া ভ্রূণ থেকে জন্ম নেয়নি। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘আইভিএফ’ পদ্ধতি।
ফিলিপ রিজওয়ে বলেছেন, ‘আমাদের চারটি সন্তান রয়েছে। তারপরও একটি বড় পরিবার গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমি আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করেছিলাম।’
এদিকে র্যাচেল জানান, তাঁরা ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশান সেন্টারে গিয়ে জানতে পারেন, সেখানে ১৯৯২ সালের ২২ এপ্রিল থেকে একটি ভ্রূণ সংরক্ষিত রয়েছে। তবে ভ্রূণদাতার নাম তারা জানে না। ফিলিপ-র্যাচেল দম্পতি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন, ভ্রূণটিকে তাঁরা পৃথিবীর আলো দেখাবেন। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রূণ নেওয়ার ঘটনা নতুন না হলেও ৩০ বছরের পুরোনো ভ্রূণ থেকে সন্তান জন্ম দেওয়া নিঃসন্দেহে প্রথম।
চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর অবশেষে পৃথিবীর আলো দেখেছে সেই ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া দুটি ফুটফুটে শিশু লিডিয়া ও টিমোথি। সন্তান দুটি জন্ম নেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত ফিলিপ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা খুব উত্তেজনার মধ্যে ছিলাম। কিন্তু সবচেয়ে পুরোনো ভ্রূণ থেকে শিশুর জন্ম দিয়ে কোনো রেকর্ড ইচ্ছা আমাদের ছিল না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।