বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা পুনরায় পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে সদ্য তৈরিকৃত বিধিমালা আবারও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংশোধনের জন্য পাঠানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম অনুরোধ করেছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হোক। এই পরিবর্তনের ফলে ১৯তম শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কিছু বিলম্ব হতে পারে। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুই ধাপ থাকবে—নির্বাচনী পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা। নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য পদের দ্বিগুণকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
মৌখিক পরীক্ষা ২০ নম্বরের হবে এবং উভয় ধাপেই উত্তীর্ণ হতে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে চূড়ান্ত মেধাতালিকা শুধুমাত্র নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে প্রস্তুত হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ করা হবে, যেখানে শূন্য পদের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ প্রার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা তিন বছরের জন্য একটি সনদ পাবেন, যা সরাসরি নিয়োগের জন্য যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
নতুন বিধিমালায় বয়সসীমা ৩৫ বছরই রাখা হয়েছে, তবে বয়স গণনা করা হবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে। ফলে সনদধারীর বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেলেও তারা চাকরির জন্য যোগ্য থাকবেন।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পদ্ধতিতে পুরো প্রক্রিয়া তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হবে, যা আইনি জটিলতা কমাবে এবং নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নতুন বিধিমালাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা আশা করছেন, বিসিএসের মতো সরাসরি পরীক্ষা নেওয়ায় যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ সহজ হবে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলমান সুপারিশ বা প্রভাবের কারণে সৃষ্ট বাধা দূর হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।