মা, বাবা ও ছোটবোন এবং এর আগে গৃহশিক্ষক আমিনুলকে হত্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মেহজাবিন ইসলাম মুন। তার দাবি, তাকে দিয়ে দেহব্যবসা করিয়েছেন মা। বোনকে দিয়েও মা দেহব্যবসা করাচ্ছিলেন।
এখানেই শেষ হয়, একই পরিবারে ‘অস্বাভাবিক ও অবাধ যৌনতা’ এবং লোভের ঘটনাগুলোও ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। এসব ঘটনার জেরেই কিন্তু একই পরিবারের ৩ টি প্রাণসহ মোট ৪ জনের প্রাণ চিরতরে ঝরে গেল।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, এই পরিবারটির সদস্যদের মধ্যে জটিলতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বড় মেয়ে মেহজাবিন মুনের বিয়ের আগে আমিনুল ইসলাম নামের এক যুবক মুনকে প্রাইভেট পড়াতেন। ওই সময় মুনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমিনুলের।
ঘটনা এখানেই শেষ হয়। আমিনুলের সঙ্গে অ নৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তার মা মৌসুমিও। নিয়মিতই তাদের সঙ্গে মেলামেশা ছিল আমিনুলের। আরে সেসব ভিডিও গোপনে ধারণ করেন ওই শিক্ষক।
জানা গেছে, ওই ভিডিও দেখিয়ে মা মৌসুমি ও মেয়ে মেহজাবিনের সঙ্গে অ নৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যান আমিনুল। এমনকি তিনি মুনের ছোট বোন জান্নাতুল ইসলাম মোহিনী ও তার এক আত্মীয়ের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেন।
ছাত্রী মেহজাবিন মুন, ছাত্রীর মা মৌসুমী ইসলাম এবং ছাত্রীর ছোট বোন জান্নাতুল ইসলাম মোহিনীর সঙ্গে আমিনুলের অবাধ যৌনতা চলতে থাকে। এর মধ্যেই মেহজাবিন মুনকে শফিকুল নামের এক জনের সঙ্গে বিয়ে দেন মা মৌসুমী। এতে ক্ষিপ্ত হন অবাধ যৌনতার সুবিধাভোগী গৃহশিক্ষক আমিনুল। তিনি ছাত্রী মেহজাবিনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার স্বামীকে দেখান। এতে মুনের সংসারে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। পরিস্থিতিতে মা মৌসুমীও তখন আমিনুলের ওপর বিরক্ত হতে থাকেন।
জানা যায়, মা, দুই মেয়ে, স্বামী শফিকুল ও খালা শিউলী আক্তার পরিকল্পনা করে গৃহশিক্ষক আমিনুলকে বাসায় ডেকে নিয়ে গত ৫ বছর আগে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় মেহজাবিন মুনকে আসামি করা হলেও পরে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। যে কারনে শফিকুল, মৌসুমী এবং শিউলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। যে মামলা তারা ৩ জন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহিনীর (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অচেতন অবস্থায় মেহজামিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।