হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণেই জীবনের আলোকিত পথ ও ইহকাল-পরকালের সাফল্য নিহিত আছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর সীরাত আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথনির্দেশক হতে পারে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহ সোসাইটির শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও জনসংযোগ উপ-কমিটি।
সৎ উপার্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. খালিদ বলেন, “সকল কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। পুণ্যের জন্য রয়েছে পুরস্কার, আর পাপ করলে কঠিন শাস্তি অনিবার্য। দুদকের হাত থেকে বাঁচা গেলেও আল্লাহর হাত থেকে বাঁচার উপায় নেই।”
তিনি আরও বলেন, “পাপ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। তাই পাপের পথ থেকে ফিরে এসে তওবা করতে হবে। পদস্খলন ঘটলে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
ধর্ম উপদেষ্টা সবাইকে সহজ-সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণে পরিচালিত জীবনই প্রকৃত অর্থে সফল ও কল্যাণময় জীবন।”
হালাল উপার্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো হালাল পথে উপার্জন। হারাম পথে অর্জিত ধনসম্পদে বর্ধিত শরীর বেহেশত প্রবেশ করবে না। তাদের নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত কোন কিছুই কবুল হবে না।
গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহ সোসাইটির সভাপতি মেজর (অব.) এ মতিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি লুৎফুল কবির সাদী বক্তব্য প্রদান করেন। পরে উপদেষ্টা ক্যালিওগ্রাফি, ইসলামি জ্ঞান ও রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



