দুদকে স্বাস্থ্যের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ

জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাস্ক ও পিপিই ক্রয়ে অনিয়ম ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যাপারে জবাব দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

মাস্ক-পিপিইসহ করোনা স্বাস্থ্যসামগ্রী কেনায় দুর্নীতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম অনুসন্ধানে গত ৬ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক দু’টি অভিযোগ অনুসন্ধানে তার বক্তব্য নেওয়া জন্য আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্যা আলাদা চিঠিতে তাকে তলব করেছেন।

মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর্স ডিপার্টমেন্টের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বক্তব্য গ্রহণের জন্য তলব করা হয়।

আগামী ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।

অপরদিকে, দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ১৩ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে। চিটিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে  সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে (আবুল কালাম আজাদ) তলব করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস রোগীদের সেবা দিতে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা চুক্তি নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে গত ২১ জুলাই মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আজাদ।