লাইফস্টাইল ডেস্ক : নীরোগ থাকার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ থাকে নিয়মিত শাক-সবজি খাওয়ার। এই শব্দটির প্রথম শব্দটি হলো শাক।
কাঁচা বাজারে নানা ধরনের শাকের দেখা মেলে। যেমন- পালং শাক, কলমি শাক, লাল শাক, পুঁই শাক, কচু শাক, সরষে শাক, পাট শাক প্রভৃতি।
সবগুলোই হাঁট-বাজারে স্থানীয় বিক্রেতারা ছোট ছোট আঁটি হিসেবে বেঁধে বিক্রি করে থাকেন। মজার ব্যাপার হলো- কাঁচামালের এসব বিক্রেতারা সেসব শাকের আঁটিগুলোতে পানির ঝাপটা দিতে দিতে সবগুলোকেই মুহূর্তে তরতাজা বানিয়ে ফেলেন! যা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান সাধারণ ক্রেতা।
স্বাস্থ্য সচেতনার কথা বিবেচনায় যারা সবুজ শাক-সবজি খাওয়ার কথা ভাবেন আর তিনি যদি নতুন ক্রেতা হয়ে থাকেন তাহলে তাকে কিছুটা বিভ্রান্তির মাঝে পড়তে হয়। সবজি বিক্রেতার তালিকায় একাধিক শাক। কোনটা খেতে সুস্বাদু? কোনটা কেনা অধিকতর ভালো?
এমন প্রশ্নে স্বাভাবিকভাবেই দুলে উঠে মন। তবে কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মতামত – অবশ্যই ঢেঁকি শাক। কিন্তু কেন?
ঢেঁকি শাকের উদ্ভিদ তাত্ত্বিক বা বৈজ্ঞানিক নাম Diplazium esculentum এবং এটি Athyriaceae পরিবারের উদ্ভিদ। বাবু শাক, ঢেঁকিয়া শাক, বৌ শাক এই শাকের আঞ্চলিক নাম। তার কোমলকচি ডাটায় ডাটায় পুষ্টিগুণ ভরা।
কী আছে এই ঢেঁকি শাকে? এমন প্রশ্নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার পাল বলেন, সাধারণত আমাদের দেশে বিভিন্ন ঋতুতে প্রায় ১৫ ধরনের শাক পাওয়া যায়। এগুলো কেউ কেউ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন আবার কেউ কেউ ঘরোয়াভাবে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করে খেয়ে থাকেন। এসবগুলোর মধ্যে ঢেঁকি শাক খেতে সুস্বাদু। এটি সবজি জাতীয় ফার্ণ উদ্ভিদ।
রোগব্যাধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যান্য শাকের মতো এই ঢেঁকি শাকও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন রোগব্যধির হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই শাক উচ্চ পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ বলে শারীরিক ওজন কমায় এবং হার্টের রোগ কিছুটা কমিয়ে দেয়। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ থাকায় আমাদের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এই ঢেঁকি শাকে ভিটামিট ‘সি’ রয়েছে বলে ক্যানসার, বিভিন্ন প্রদাহ, পরিপাকতন্ত্রে ইনফেকশন দূর করে এবং ছোঁয়াচে ঠাণ্ডা-কাশিজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে। ঢেঁকি শাকে পাটাশিয়াম বেশি থাকায় উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং ডায়াবেটিক রোগের জন্য এটি নির্ভরশীল খাবার বলে এই কৃষি কর্মকর্তা জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।