দূরশিক্ষণের উপর নির্ভর করা ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীদের কাছে কোনও উপায় থাকে না। শিক্ষার্থীদের অনেকেরই ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নেই এবং অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ক্লাসকে তাদের প্রত্যাশা এবং শেখার চাহিদার তুলনায় কম বলে মনে করছে।
বিশ্বজুড়ে শিশু এবং তরুণদের জন্য ডিজিটাল দূবিভাজন কমিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মহামারী শুরুর আগেও ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ও আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বড় সংখ্যক তরুণ-তরুণীদের হস্তান্তরযোগ্য, ডিজিটাল এবং উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতা শিখতে হবে।
শিশু ও তরুণ-তরুণীদের মানসম্মত ডিজিটাল শিক্ষার সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে শিক্ষার সঙ্কট মোকাবেলা করা এবং শিক্ষার রূপান্তর ঘটাতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রতিটি স্কুলকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তথ্য, সুযোগ-সুবিধা এবং নিজ নিজ আগ্রহের কাজের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
শিক্ষা কার্যক্রমকে বিস্তৃত করতে হবে ও অবশ্যই আমাদের শিশু এবং তরুণ-তরুণীদের কথা শুনতে হবে যাতে করে অনলাইনে হোক বা ব্যক্তিগতভাবে হোক আমরা ক্রমাগতভাবে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করতে পারি। এক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীরাই আমাদের সেরা শিক্ষক, বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন সহ একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার সকল ধারা যেমন, আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক, ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষাকে একত্রিত করে দূরশিক্ষণের কৌশল প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে কাজ করতে হবে।
2024 Online Learning Statistics – Forbes Advisor
প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে এবং দূরশিক্ষণে আরও ন্যায়সঙ্গত সুযোগ তৈরি করতে স্মার্টফোনের পরিবর্তে বেসিক মোবাইল ফোন এবং টেক্সট বার্তা ব্যবহার করে শেখার সুবিধা দরকার। কিছু সংখ্যক শিশুর বেসিক মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় আমরা প্রায়শই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকি। এসব শিশুর দোরগোড়ায় মুদ্রিত শিক্ষণ প্যাকেজ পৌঁছে দিতে কাজ করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হলো কোনও শিশু যেন পিছনে পড়ে না থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।