কোরাল মাছ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈচিত্রপূর্ণ এ মাছ হুমকির সম্মুখীন। রঙ কোরাল মাছের সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। এটি রঙিন হয় মূলত দেহের ভিতরে প্রোটিন দ্বারা উৎপাদিত পিগমেন্টের কারণে, যা বিভিন্ন ধরণের আলো প্রতিফলিত করে।
তারপরে তারা আলোর একটি রঙ শোষণ করে ও নির্ধারণ করে যে তারা পরবর্তী সময়ে কোন রঙ ধারণ করবে। ওপেন এক্সেস জার্নাল PLOS বায়োলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায় যে, বিজ্ঞানীরা স্টেনিং পদ্ধতির সাহায্যে প্রবাল লার্ভা ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে তারা মাছটির রঙ এর সাহায্য নেন।
সমুদ্রের যে অঞ্চলে কোরাল মাছ বাস করে সেখানকার সন্ধান পান গবেষকরা। এরা বর্তমানে সামুদ্রিক দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রের অম্লকরুণ ইত্যাদি কারণে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
কোরাল মাছ সাধারণত সমুদ্রে অনেক দূর পর্যন্ত সাঁতার কেটে চলে যেতে পারে। তাদের ভ্রমণ ব্যাসার্ধ বেশি হওয়ায় ট্র্যাক করা বেশি চ্যালেঞ্জিং। গবেষকদের একটি দল নতুন ট্র্যাকিং পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখছেন।
নতুন পদ্ধতিতে তারা প্রায় তিন হাজার লার্ভা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। এরপর লার্ভাসমূহকে বিভিন্ন ঘনত্বে রঙ্গিন রঞ্জকের মধ্যে ইনকিউব করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত সমুদ্রের চেয়ে ল্যাবে পরীক্ষা করা বেশি সুবিধাজনক।
বিজ্ঞানীরা আরো খেয়াল করে দেখেন যে, ১০ হাজার লার্ভা সফলভাবে সমুদ্র তলদেশে বসতি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এসব লার্ভার উপর দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখা হচ্ছিল।
তারা সমুদ্রের বায়ুমণ্ডলের সাথে খাপ-খাইতে পারছে কিনা এবং সময়ের সাথে তাদের আচরণ কেমন তা নিয়ে অধ্যায়ন করছে বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয়ার সরকারে গবেষণায় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। ধারণার থেকেও অনেক কম খরচে এ গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।