জুমবাংলা ডেস্ক: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় লাক মিয়া (২০) মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বড় ভাই তাঁরা মিয়া (২৩) ও ভাবি রুমা আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা লাক মিয়াকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে লাক মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম।
এ ঘটনায় লাক মিয়ার বাবা উপজেলার ঘোমকান্দা গ্রামের আবু সিদ্দিক ফকির বাদী হয়ে তার বড় ছেলে তাঁরা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তারকে আসামি করে গতকাল শনিবার পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যুর খবরে গত শুক্রবার (২৮ মে) বিকেলে নিহতের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের দাবি জানায়। কিন্তু মৃত্যুটি ‘রহস্যজনক’ মনে হওয়ায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের বড় ভাই ও ভাবিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ উদঘাটন হয়।
মামল সূত্রে জানা যায়, গত ৪/৫ মাস আগে ভাবি রুমার সঙ্গে দেবর লাক মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে লাক মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে কার ভাই তাঁরা মিয়া এবং ভাবি রুমা। ঘটনার দুদিন আগে তাদের মা আছমা খাতুন ঢাকাতে মেয়ের কাছে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে ভাই এবং ভাবি মিলে লাক মিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর তারা সবাইকে খবর দেয় লাক মিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে মারা গেছে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, মামলার পর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।