লাইফস্টাইল ডেস্ক : অ্যালার্ম বাজার পরেও ঘুম ভাঙেনি। আচমকা যখন পাশ মুড়লেন ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা দেরি! কোনওরকমে তৈরি হয়েই ছুট দিলেন। এতক্ষণ তাও ঠিক ছিল। অফিসে ঢুকেই শুনলেন বস খোঁজ করছিলেন। ব্যস গলা শুকিয়ে গেল আপনার। এদিকে কিছুক্ষণ পরই মিটিং, কিছুটা কাজও বাকি এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখবেন কিভাবে?
দেরি করলেই বেড়ি পরতে পারে মাইনেতে
প্রথমেই মনে রাখতে হবে যে কোনও জায়গায় দেরিতে পৌঁছনো এক ধরনের ব্যর্থতা। তাতে কাজে যেমন প্রভাব পড়ে, আপনার প্রতি ভরসাও কমে যায় অন্যজনের। খেসারত হিসেবে মাইনেতেও হাত পড়তে পারে। তাই দেরি একদমই নয় বরং নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছনোর চেষ্টা করুন।
সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বুঝে নিন
দেরি যখন হয়েই গিয়েছে আর ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। শুরুতেই সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করুন। শরীর কেমন আছে, খেলা দেখেছেন কিংবা টুকটাক অন্যান্য কথা বলে গম্ভীর পরিস্থিতি সহজ করে নিন। আপনিও উদ্যম পাবেন অন্যরাও হাল্কা হতে পারবেন।
অফিস ঢুকেই চা বা কফি একেবারেই না
এমনিতেই খালি পেটে গরম চা-কফি খাওয়া ভাল না। তাই অফিসে গিয়ে হাল্কা কিছু খেয়ে নিন। তার বেশকিছু সময় পর চা বা কফি পান করুন। এবার কাজে বসে পড়ুন।
রুটিন থাকা জরুরি
স্কুল থেকেই আমরা রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করতে অভ্যস্থ। কাজেও সেই রুটিনের বিকল্প নেই। নিজের মতো করে ঠিক করে নিন কোন কাজ দিয়ে দিন শুরু করবেন। কারণ কাজ যখন আপনার তা সম্পন্ন করার দায়িত্ব আপনারই।
অনেকগুলি কাজ এক সঙ্গে নয়
গবেষণায় বলে অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করতে গেলে কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে। তাই এক সময়ে মাত্র একটি কাজই করা ভাল। তাই প্রতিটি কাজের জন্য পৃথক ভাবেই মনযোগ দেওয়া উচিৎ।
ব্যক্তিগত সমস্যা অফিসে নয়
গতরাতে বা সকালে যে ঝামেলা হয়েছে তার রেশ নিয় অফিসে আসবেন না। কাজের সময় ব্যক্তিগত বিষয়কে দূরে রাখুন। এসবের প্রভাব অফিসের কাজে প্রভাব ফেলে।
শুরুতেই কোনও মিটিং নয়
সকালে অফিসে এলেও ঘুম ঘুম ভাব থাকে। তাই আপনার মনে যুক্তিগুলো সঠিক নাও হতে পারে। তাই ওই মিটিংগুলো বেশকিছুক্ষণ পর দুপুরের দিকে করা ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।