জুমবাংলা ডেস্ক: উটের গায়ে ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশি তাঁতের বেল্ট। পাহাড়ি নারীদের কোমর-তাঁতে বোনা বিশেষ বেল্টের কদর বাড়ছে দুবাইয়ে। দেশে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। তবে মজুরি না বাড়ায় পাহাড়ি নারীদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
প্রায় ১৭ বছর আগের গল্প। ২০০৬ সালে এক দুবাই-প্রবাসীর অনুরোধে উটের গায়ে ব্যবহৃত বিশেষ বেল্ট তৈরির কাজ শুরু করেন কাউখালীর জুনুমাছড়া গ্রামের মিকা দেওয়ান। ব্যাপক চাহিদা থাকায়, তার দেখাদেখি একই কাজ শুরু করেন আরও অর্ধশত পাহাড়ি নারী।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এই বেল্ট যাচ্ছে দুবাইয়ে।
পাহাড়ী নারীরা বলেন, “তিন হাজার টাকা মজুরি দিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমেনি আর বাড়েওনি। এই টাকায় আমাদের পোষায় না।”
প্রতি সেটে থাকে ছোট-বড় আকারের ১৫টি বেল্ট। মাসে একজন সর্বোচ্চ ৩ সেট বেল্ট তৈরি করতে পারেন। মজুরি পান মাত্র তিন হাজার টাকা।
এই অল্প মজুরিতে সংসার চলে না তাদের। তাই দিন দিন এ পেশায় আগ্রহ হারাচ্ছেন পাহাড়ি নারীরা।
ঘাগড়া ইউপির সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মিনুরানী চাকমা বলেন, “সরকারিভাবে কোনো অনুদান দেয়নি। তারা যেরকম কষ্ট করছে এর অনুপাতে তারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।”
রাঙামাটি পার্ত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উদ্যোক্তা ঝর্ণা খীসা বলেন, “কোন দিক থেকে যদি সহযোগিতা পেতো তাহলে কাজটা ভালোভাবে চলতো। এগুলো এখানে বিক্রি হয়না, সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় আবুধাবিতে।”
সরকারি কিংবা বেসরকারি সহায়তা পেলে কোমর তাঁতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাহাড়ী নারীদের আর্থিক অবস্থা বদলাবে। একই সঙ্গে তাঁত শিল্পও হবে বৈচিত্রপূর্ণ- এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।