জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে, প্রতারণা করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তারা পরাজিত হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আজ বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই অবস্থান কর্মসূচি করা হয়।
ফখরুল বলেন, ‘এখনো সতর্ক হোন, সজাগ হোন, যারা আজকে ক্ষমতাকে বেআইনিভাবে জোর করে ধরে রাখার জন্য সব ভিন্নমতকে দমন করছে, হত্যা করছে, গুম করছে, নির্যাতন করছে, কারাগারে নিচ্ছে- তাদের হাত থেকে আপনারও পার পাবেন না। তাই আজকে সবার দায়িত্ব ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
‘সম্প্রতি মিটিং হয়েছে এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন—নির্বাচনের সব ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অর্থাৎ তারা ভিন্ন কৌশল নিতে চায়। আগেভাগে নির্বাচন করে গোটা জাতিকে বোকা বানিয়ে আগের মতো ক্ষমতায় যেতে চায়। এবার জনগণ আপনাদের কোনো কৌশলকেই সফল হতে দেবে না। আপনাদের কোনো ফাঁদে জনগণ পা দেবে না এবার তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আপনাদের সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘সব সময় বলে এসেছি এ সরকার গণতন্ত্র মানে না। এ সরকার মানুষের মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেয় না; তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। তাদের অধীনে দুটো নির্বাচন করে বন্দুকের নলের মুখে জোর করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।
‘এ দেশের মানুষ কখনোই অন্যায়কে মেনে নেয়নি। সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজ যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন, তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যদি কেউ সমালোচনা করেন তাহলে তাদের গায়ে লাগে। কারণ তারা গণতান্ত্রিক নন। স্বাধীনতার পরে যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনো গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। রক্ষীবাহিনী দিয়ে এ দেশের বিরোধী মত দমন করেছে। চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকি সব বন্ধ করেছে। এই আওয়ামী লীগের চরিত্র দেশের মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।’
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। দেশের যে সংকট সেটা এই সরকার নিরসন করতে পারবে না। তাই জনগণ এই সরকারকে চায় না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
অবস্থান কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
ওই সময় আরও বক্তব্য দেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।