জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নূরুল হক বলেছেন, পতিত সরকার ১৭ বছরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। কারণ, ফ্যাসিস্টরা জানত জাতিকে জ্ঞানশূন্য করে রাখলে তাদের শোষণ ও শাসন করা সহজ হয়। তারা দেশকে কখনও ভালোবাসেনি, এসেছিল দেশের মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিতে। এ কারণেই দেশের টাকা পাচার করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। গোটা দেশকে ফাঁপা করে সদলবলে দেশ থেকে পালিয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ইবতেদায়ী শিক্ষকদের সঙ্গে শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া কামিল মাদরাসায় এক মতবিনিময়সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাদরাসা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আল্লাহভীরু ন্যায়পরায়ণ ও শিক্ষিত জাতির বিকল্প নেই। যারা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে তারা কেউ মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত না। আর মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি কখনও দুর্নীতি অন্যায় ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না।
কোনও অজুহাদ না দিয়ে মাদরাসায় শিক্ষার্থী বাড়াতে ও মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাহলে মাদরাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে এই সরকার দ্রুতই বৈষম্যের শিকার মাদ্রাসাগুলোতে আধুনিক ভবন বরাদ্দ দেবে। স্কুল-কলেজের সঙ্গে প্রমোশন থেকে শুরু করে যেসকল বৈষম্য রয়েছে সব দূর করবে। আবারও পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা চালু হবে, ইবতেদায়ীতে উপবত্তি ও মিড-ডে মিল চালু করা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনও বৈষম্য থাকবে না।
উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই বারীর সভাপতিত্বে, শেরপুর শহিদীয়া আলীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আলতাদিঘী ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, ফুলতলা দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল বাছেদ, রাজারদিঘী দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ওমর ফারুক, বিরইল দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা হায়দার আলী, ভবানীপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শামসুল আলম, বগুড়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।