জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের জনসংখ্যার ৮ শতাংশের হিয়ারিং লস বা শ্রবণজনিত সমস্যা আছে। এসব রোগীসহ জন্মবধিরদর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। একটি বেসিক মডেলের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের গড় মূল্য দাঁড়ায় ৯-১০ লাখ টাকা। উচ্চতর মডেলের ক্ষেত্রে এর মূল্য ২০-৩০ লাখ টাকা। সরকার এসব পরিবারকে নামমাত্র মূল্যে এ ডিভাইস দিয়ে থাকে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া শিশুদের নিয়ে আয়োজিত এক ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট গ্রুপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি অন্যতম প্রধান কাজ। সবার পক্ষ থেকে একটি দাবি এসেছে যে, কক্লিয়ার ডিভাইসটি নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে সেটির রিপ্লেসমেন্ট খুবই ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। যার ফলে পরিবারের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে সরকারিভাবে আলাদা একটি ফান্ড হতে পারে, যেখান থেকে রোগীর পরিবারকে কক্লিয়ার ডিভাইস রিপ্লেসমেন্ট করা যেতে পারে। যদিও এটি পুরোপুরি সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার যদি একটু সুবিধা করে দেয়, তারপরও রোগীদের পক্ষ থেকে কিছুটা খরচ বহন করতে হবে।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট গ্রুপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু বলেন, বিদেশি সার্জনের মাধ্যমে ২০০৫ সালে দেশে প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শুরু হয়। এর আগে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় ১৯৮৫ সালের দিকে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতে শুরু হয় ১৯৯৫ সালের দিকে। বর্তমানে বিশ্বে চারটি কোম্পানি মানসম্পন্ন কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট তৈরি করে।
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, গবেষণা জরিপ অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশের হিয়ারিং লস আছে। তাদের মধ্য থেকে দেশে আমরা এখন পর্যন্ত দুই হাজার রোগীর অপারেশন করেছি। একটি বেসিক মডেলের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের গড় মূল্য দাঁড়ায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা। উচ্চতর মডেলের ক্ষেত্রে এর মূল্য ২০-৩০ লাখ টাকা হয়ে থাকে। এই মূল্য আমাদের মতো দেশে বেশিরভাগ পরিবারেরই নাগালের বাইরে হওয়ায় সরকারি সহযোগিতায় নামমাত্র মূল্যে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট গ্রæপ অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।