জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। এর মধ্যে শ্রমিক আছেন প্রায় ৫ লাখ। এদের মধ্যে মার্চের প্রথম ২০ দিনেই এসেছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার। পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য অনুযায়ী আরও জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ছুটি নিয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের বড় একটি অংশই এখন চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। আবার প্রবাসীদের নিয়ে এক ধরনের আতঙ্ক থাকায় দেশে ফিরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে থাকতে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য শেষ হওয়া মার্চ মাসে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। আর আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে কম ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। জানুয়ারিতে এসেছে ১৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ছিল ১৪৫ কোটি ২০ লাখ ডলার।
সিঙ্গাপুর থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরা স্বপন মিয়াবলেন, ‘এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশে এসেছিলাম। কিন্তু এখন যেতে পারছি না। কোম্পানি থেকে বলা হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেতে পারব। কিন্তু কবে সব ঠিক হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। সিঙ্গাপুরে অন্য যারা আছেন, তারা বাসায় থেকেই বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু আমার মতো যারা দেশে এসেছেন, তাদের কী হবে?’
তিনি বলেন, এখানে অনেকের অবস্থা আমার মতোই। বিরাট সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা না পেলে আমরা আর টিকতে পারব না।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকার সেসব দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ফিরিয়ে নেয়ার ও ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিয়েছে। তার পরও স্বস্তিতে নেই প্রবাসীরা। তাদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একসঙ্গে অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরে যেতে উড়োজাহাজের টিকিটের খোঁজ করবেন। ফলে চাহিদা বেড়ে সে সময় দাম বাড়তে পারে টিকিটের।
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) পরিচালক ড. সিআর আবরার এ বিষয়ে বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে সবসময়ই বড় অবদান রেখে আসছে। এখন নভেল করোনাভাইরাসের কারণে কাজ না থাকায় অনেকেই দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন না। আবার যারা ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন, তারাও পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। সরকারের এখনই উচিত তাদের জীবন ধারণের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানোর ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় অর্থনৈতিক মন্দা হলে অনেক প্রতিষ্ঠান কম জনবল নিয়ে কাজ চালাতে চাইবে। ফলে প্রবাসীদের চাকরির ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়টিও সরকারকে বিবেচনা করতে হবে।
তথ্যসূত্র : বণিক বার্তা
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel