স্বাস্থ্য ডেস্ক : দেশে কিডনী রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি অকেজো হয়ে যাচ্ছে। আইনি বাধা আর প্রত্যঙ্গ স্বল্পতায় কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারছেন না রোগীরা। অনেকের দাবি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন-বিয়োজনে সম্পর্কের সীমারেখা তুলে দেয়ার। কিন্তু কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন হলে অঙ্গ কেনাবেচা বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে আইসিইউতে ব্রেইন ডেড ঘোষিত রোগীদের থেকে যদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেয়া যায় তাহলে বেঁচে যাবে অনেকের জীবন।
কিডনী রোগীরা বলছেন, যে কিডনি দিবে সে কিন্তু কিডনি আমাকে না দিলেও সে অন্যভাবে বিক্রি করে ফেলবে। দেখা যাবে ভারতে গিয়ে দিয়ে আসবে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। আর না পাওয়ার একটাই কারণ, আইন।
ডায়ালাইসিসের শারীরিক, আর্থিক ধকল আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। আইনি বিধিনিষেধের কারণে কিডনি দিতে পারছেন না নিকটাত্মীয় কেউ। তাই বাধ্য হয়ে ডোনার নিয়ে পাশের দেশে যেতে হচ্ছে তাকে।
গেলো বছর সংশোধিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন অনুযায়ী বাবা, মা, আপন ভাই, বোন ছাড়াও চাচাতো-মামাতো ভাই বোনসহ কিছু আত্মীয় অঙ্গ দান কিংবা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু দাবি উঠছে, এ আইন সংশোধন করে কিডনিসহ অন্য সকল অংগ প্রতিস্থাপনে সম্পর্কের গণ্ডি তুলে দেয়ার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশেবিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধাপক রফিকুল আলম বলেন, ব্রেইন ডেড ঘোষিত রোগী একজনকে ৭টি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে পারে।
এজন্য প্রশাসনিক কাঠামো এবং মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন কিডনি বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।